কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের প্রতিবাদের পাশাপাশি কর্মীদের ধর্মঘটের ইস্যুগুলির মধ্যে রাখা হয়েছে শোধ না হওয়া ঋণ দ্রুত আদায়ের ব্যবস্থা করা, ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, গ্রাহকদের উপর থেকে সার্ভিস চার্জের ভার কমানো, ডিপোজিটের উপর সুদের হার বাড়ানোর মতো বিষয়গুলি। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় প্রেসিডেন্ট রাজেন নাগর বলেন, আমরা এই ধর্মঘটের ইস্যুতে কর্মীদের নিজস্ব দাবিদাওয়াগুলি রাখিনি। কারণ গ্রাহক স্বাচ্ছন্দ্য সবার আগে। তবেই বাঁচবে ব্যাঙ্কশিল্প। রাজেনবাবুদেব বক্তব্য, একের পর এক ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের বিষয়ে যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তাতে ব্যাঙ্ক পরিষেবা ভালো হতে পারে না। এর আগে যে সংযুক্তিকরণগুলি হয়েছে, তাতে প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে ব্যাঙ্কের আর্থিক অবস্থা ভালো হয়নি। সম্প্রতি সরকার যেভাবে ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংখ্যা কমিয়ে চারটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতেও কোনও সুরাহা হবে না। এদিকে, ধাপে ধাপে আমানতের উপর সুদের হার কমিয়ে সাধারণ মানুষকে বিপদের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে ব্যাঙ্কগুলি। পরিষেবা খরচ বাবদ যেভাবে গ্রাহকের পকেট কাটা হচ্ছে, তাও মেনে নেওয়া যায় না। আমরা তারই প্রতিবাদ জানাচ্ছি এই ধর্মঘটের মাধ্যমে, দাবি রাজেনবাবুর।
ধর্মঘটীরা জানিয়েছেন, দুর্গোৎসবের মুখে যাতে সাধারণ মানুষের হয়রানি না হয়, তার জন্যই তাঁরা পিছিয়ে অক্টোবরের শেষের দিকে ধর্মঘটের দিন স্থির করেছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি এই ধর্মঘটে অংশ নেবে বলে দাবি করেছেন ধর্মঘটীরা। তবে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এবং সমবায় ব্যাঙ্কগুলি ধর্মঘটে অংশ নিচ্ছে না। বাইরে রাখা হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকেও। তবে ধর্মঘটীরা জানিয়েছেন, তাঁদের সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে এটিএমগুলিতে। যেহেতু এটিএমগুলির নিরাপত্তা কর্মীরা ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনের সদস্য, তাই তাঁরাও ধর্মঘটে শামিল হওয়ায় বন্ধ থাকবে অধিকাংশ এটিএমের দরজা।
প্রসঙ্গত, গত মাসের ২৬ ও ২৭ তারিখে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দেয় ব্যাঙ্ক অফিসারদের চারটি সর্বভারতীয় সংগঠন। কিন্তু পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হওয়ায় সেই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে তারা। এদিকে, সংযুক্তিকরণের বিরুদ্ধে আলাদা করে ধর্মঘটে যাওয়ার হুমকি আগেই দিয়ে রেখেছিল কর্মী সংগঠনগুলি। সেই সিদ্ধান্তই এবার কার্যকর হতে চলেছে।