দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলি মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা। মাওবাদীদের বহু নাশকতার সাক্ষী গড়চিরৌলি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, অনুন্নয়ন, বঞ্চনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে মাওবাদীরা। ফলে তাদের সঙ্গে মোকাবিলা করার একমাত্র হাতিয়ার হল ঢালাও উন্নয়ন। গড়চিরৌলির সামগ্রিক বিকাশ ঘটিয়ে মাওবাদীদের কড়া হাতে দমন করা হবে বলে জানান শাহ। তিনি বলেন, ‘মাওবাদীরা উন্নয়ন চায় না। কিন্তু মোদি সরকার সেটাই করতে চায়। আদিবাসীদের অভাব, অভিযোগ ও বঞ্চনাকে অগ্রাধিকার দিয়ে গড়চিরৌলির উন্নয়ন ঘটাতে তৎপর সরকার।’
কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসে গড়চিরৌলির আদিবাসীদের জন্য কী কী কাজ করেছে মোদি সরকার, তাও এদিন তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এখানে এক লক্ষ ৩০ হাজার শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে। ৪৮ হাজার পরিবারে গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে। এলাকার প্রায় প্রতিটি আদিবাসী বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। পাকা বাড়িও পেয়েছেন আট হাজার গরিব আদিবাসী পরিবার।’ এর পরেই রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে শাহ বলেন, ‘টানা ৭০ বছরের শাসনকালে ‘রাহুলবাবা’র পরিবারের চার প্রজন্ম এমন উন্নয়নের কথা ভাবতেও পারেননি। মহারাষ্ট্রে এনসিপি-কংগ্রেস জোট সরকারও আদিবাসীদের কথা ভাবেনি।’ এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে শাহ বলেছেন, ‘আপনি বর্ষীয়ান রাজনীতিক। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিলেন। আপনি চাইলে আপনার সঙ্গে উন্নয়ন নিয়ে খোলামেলা বিতর্কে অংশগ্রহণ করতে আমরা প্রস্তুত।’
মহারাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রচারের প্রথম থেকেই জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির সিদ্ধান্তকে মোদি সরকারের অন্যতম সাফল্য বলে তুলে ধরেছে বিজেপি। এদিন গড়চিরৌলিতেও শাহ বলেছেন, ‘অখণ্ড ভারত গড়ার লক্ষ্যেই জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখার স্বার্থেই এই সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি কংগ্রেস। যার সুযোগ নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়েছে। মারা পড়েছেন ৪০ হাজারেরও বেশি নিরীহ মানুষ।’