গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
অন্যদিকে, ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় এনআরসি’র আহ্বায়ক প্রতীক হাজেলাকে অসম থেকে বদলি করে দেওয়া হল। অসম-মেঘালয় ক্যাডারের এই আইএএস’কে মধ্যপ্রদেশে পাঠানো হচ্ছে। এদিন আদালত বদলির কোনও কারণ উল্লেখ না করলেও এনআরসি’র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর অসমে হাজেলার পক্ষে কাজ করা সমস্যার হচ্ছিল বলেই অভিযোগ। নানা মহল থেকে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। যদিও শীর্ষ আদালত আজ এসব কিছুই উল্লেখ করেনি। দেশের অ্যান্টর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল বদলির কারণ জানতে চাইলেও প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, কোনও কারণ ছাড়াই বদলি করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আদালতই এনআরসি’র আহ্বায়ক হিসেবে প্রতীক হাজেলাকে নিয়োগ করেছিল। তাই তাঁর বদলির নির্দেশ খুশি মনেই মেনে নিয়েছেন হাজেলা।
অসমের জন্যই এনআরসি নির্দিষ্ট হলেও খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরুর বিজেপির ছোটবড় নেতারাও গোটা দেশে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী হবে বলে প্রচার বাড়াচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বাংলায় আতঙ্কও তৈরি হয়েছে। আর সেই পরিস্থিতিতেই সুপ্রিম কোর্টে বাঙালি উদ্বাস্তুদের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। দেশভাগের পর যেসব বাঙালি ভারতে চলে এসেছে, এনআরসি’র আওয়াজ তুলে তাদের কোনওভাবেই ‘ফরেনার্স অ্যাক্ট ১৯৪৬’ প্রয়োগ করে বিচার করা চলবে না বলেই দাবি করেছে আবেদকারী সংগঠন জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি ফর বেঙ্গলি রিফিউজিস। আজ মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, এ ব্যাপারে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টে জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির আইনজীবী শান্তিরঞ্জন দাশ বলেন, অসমের এনআরসি’র চূড়ান্ত তালিকা থেকে যে ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের বাসিন্দার নাম বাদ পড়েছে, তার মধ্যে অধিকাংশই বাঙালি। এনআরসি’র তালিকা থেকে বাদ পড়ার পর অনেকেই অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আতঙ্কে আত্মহত্যাও করেছেন। তাই বাদ পড়া নাগরিকদের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে সুপ্রিম কোর্ট অথবা হাইকোর্টের কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টিম তৈরি হোক।
এনআরসি’র চূড়ান্ত তালিকায় বাদ পড়া বাসিন্দাদের কীভাবে রাখা হয়েছে, অসমে কতগুলি কনস্ট্রেশন কেন্দ্র তৈরি হয়েছে তা জানাক কেন্দ্র দাবি করে মামলার আবেদন সামনে রেখে শান্তিরঞ্জনবাবু আরও বলেন, অসমের এনআরসি’র পরিপ্রেক্ষিতে উদাস্তুদের নিয়েও টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তাই দেশভাগের পর অবিভক্ত ভারতের যারা এদেশে চলেএসেছে, তাদের কোনওভাবেই বিদেশি বলে তকমা দেওয়া যাবে না। তাদের ভারতীয় নাগরিকত্বের অধিকার বজায় রাখতে হবে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এস এ বোবডে এবং বিচারপতি আর এফ নরিম্যানের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, এ ব্যাপারে রাজ্যগুলির বক্তব্যও শোনা হবে। শীঘ্রই বিশেষ বেঞ্চ মামলা শুনবে।