দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
২০১০ সালে অযোধ্যার বিতর্কিত জমির মালিকানা নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় একাধিক হিন্দু এবং মুসলিম সংগঠন। সেই মামলা গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতে শুনানির পাশাপাশি রাম অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্কে বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে মীমাংসার উদ্দেশে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এফ এম ইব্রাহিম কলিফুল্লার নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন আর্ট অব লিভিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রী রবিশঙ্কর এবং প্রবীণ আইনজীবী শ্রীরাম পঞ্চু। ৪০ দিন নিয়মিত শুনানির পরে বুধবার এই মামলার রায়দান স্থগিত রাখেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। আর সেই দিনই তাদের রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দেয় তিন সদস্যের মধ্যস্থতাকারী দল। এরপরই এই রিপোর্ট ঘিরে বিতর্ক দেখা দেয়।
মুখবন্ধ খামে জমা দেওয়া হলেও রিপোর্টের অংশ বিশেষ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়ে পড়ে। জানা যাচ্ছে, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্বাণী আখড়া, নির্মোহী আখড়া, রাম জন্মভূমি পুনরুদ্ধার সমিতি এবং অন্য একাধিক হিন্দু সংগঠন জমি মামলায় মতামত বিনিময়ের মাধ্যমে মীমাংসার পক্ষে। সেই মীমাংসা সূত্র অনুযায়ীই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। এই নিয়ে আইনজীবী ইজাজ মকবুল বলেন, ‘পরিষ্কার করে জানাতে চাই যে সুপ্রিম কোর্টে আমরা অযোধ্যার বিতর্কিত জমির মালিকানা নিয়ে মামলা করেছি। সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হওয়া মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব আমরা সমর্থন করি না।’ রিপোর্ট ফাঁস হওয়ার পিছনে মধ্যস্থাতাকারীরা বা নির্বাণী আখড়া রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। রিপোর্ট নিয়ে গোপনীয়তা না রেখে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে ইজাজ জানিয়েছেন।