দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
এবারের ভোটে বিজেপির প্রচারের সিংহভাগজুড়েই থাকছে জল সমস্যা এবং খারাপ রাস্তাঘাটের ইস্যু। অন্যদিকে, এনসিপি তাদের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে ‘গড়’ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। শারদ পাওয়ার শিবিরের দাবি, যতই প্রচার করুক না কেন, বারামতীতে বিজেপি এবারও পর্যদুস্ত হবে। যদিও, প্রত্যয়ী বিজেপি এবার বারামতীতে প্রার্থী করেছে ধনগর (মেষপালক) সম্প্রদায়ের নেতা গোপীচাঁদ পাদালকারকে। উল্টোদিকে এনসিপির প্রার্থী হয়েছেন শারদ পাওয়ার ভাইপো তথা রাজ্যের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। বিধায়ক পদ থেকে সম্প্রতি ইস্তফা দিয়ে পশ্চিম মহারাষ্ট্রের এই চিনি বলয়ে ফের প্রার্থী হয়েছেন অজিত। গত লোকসভা ভোটে এই বারামতী লোকসভা আসনে শারদ পাওয়ারের কন্যা সুপ্রিয়া সুলে বিজেপি প্রার্থী কাঞ্চন কুলকে প্রায় ১ লক্ষ ভোটে হারিয়েছিলেন। যদিও, লোকসভা ভোটের সেই লজ্জার হার এখন আর মনে রাখতে চান না বিজেপি প্রার্থী গোপীচাঁদ। তাঁর মতে, ‘এবার পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।’
গত লোকসভা ভোটে সাংলি কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী সঞ্জয় পাটিলের বিরুদ্ধে প্রকাশ আম্বেদকরের নেতৃত্বাধীন বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ির হয়ে লড়েছিলেন গোপীচাঁদ। চলতি মাসের প্রথম দিকে তিনি দল বদলে বিজেপিতে যোগ দেন। সাংলির এই ভূমিপুত্রের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ তাঁর নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকেই বারামতীতেই ঘাঁটি গেড়ে ফেলেছেন তিনি। এই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১১৭টি গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে জনসংযোগের কাজ চালাচ্ছেন। এনসিপির উন্নয়নের খতিয়ানকে নস্যাৎ করে তিনি বলেন, ‘বারামতীর উন্নয়ন নিয়ে বিপরীত ছবি মানুষকে দেখানো হচ্ছে। বাস্তব কিন্তু অন্য কথা বলছে। বারামতীর গ্রামীণ এলাকার কথা বাদই দিন, শহরাঞ্চলেও এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে মানুষ জলের জন্য হাহাকার করছে।’ এই কেন্দ্রের স্থানীয় মানুষ ভালো রাস্তা, উন্নত পরিকাঠামো ও জল সরবরাহ ব্যবস্থার দাবি করছেন বলেও জানান বিজেপি প্রার্থী। তাঁর আরও সংযোজন, ‘এখানকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। কিন্তু, আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। আমার আশা, এবার আরও বেশি সংখ্যক মানুষ বিজেপির জন্য ভোট দিতে আসবেন এবং পরিবর্তন আনবেন।’
উল্লেখ্য, বারামতীতে ধনগর সম্প্রদায়ের একটা বড় ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে গোপীচাঁদ বলেন, ‘আমি ধনগর সম্প্রদায়ের লোক ঠিকই, কিন্তু এবারের নির্বাচনে জাত-পাতের কোনও ভূমিকা নেই। এখন উন্নয়নই প্রধান ইস্যু। আর আমার পাশে এবার সমাজের সব শ্রেণীর মানুষই রয়েছেন। এনসিপি অবশ্য গোপীচাঁদের এই অনুন্নয়নের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনেও গেরুয়া শিবির বারামতীতে সাফল্যের মুখ দেখতে পারবে না। এনসিপির জেলা সভাপতি প্রদীপ গারাতকার বলেন, ‘এখানে কোনও লড়াই নেই। বারামতীতে অজিত পাওয়ার কী উন্নয়ন করেছেন, সেটা গোটা মহারাষ্ট্র জানে।’ তাঁর অভিযোগ, বিজেপি ধনগর ‘তাস’ খেলে ভোট-বৈতরণী পার করতে চাইছে। কিন্তু, মানুষ এনসিপির সঙ্গে থাকায় গেরুয়া শিবিরের এই পরিকল্পনা কখনওই সফল হবে না বলেই দাবি করেন প্রদীপ।