দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
দারিদ্র্য দূরীকরণে অর্থনৈতিক কী পন্থা অবলম্বন করা প্রয়োজন, তা নিয়ে অভিজিৎ লাগাতার গবেষণা চালিয়ে গিয়েছেন। তবে বলা যেতে পারে, তিনি শুধু গবেষণাতেই আটকে থাকেননি। দরিদ্র মেধাবী পড়ুয়াদের দিকে তিনি সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দিয়েছেন। আরিয়ান থাপা এবং আমন দাবরাল উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের দুই স্কুলছাত্র। যোগীওয়ালার বিবেকানন্দ স্কুলের এই দুই ছাত্রের মাথায় রয়েছে অভিজিৎ বিনায়কের আশীর্বাদের স্পর্শ।
তিন বছর আগে অকালেই মারা যান অভিজিতের ছেলে কবীর। তারই স্মৃতিরক্ষার্থে তিনি ওই বৃত্তি চালু করেন। আরিয়ান এবং আমন দু’জনেই অভিজিৎকে শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ জানিয়েছে। আরিয়ানের প্রতিক্রিয়া, ‘পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি (অভিজিৎ) আমাদের যে সাহায্য করেছেন, সেজন্য মন থেকে তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানাই।’ একইভাবে আমনও শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রতিক্রিয়া দেয়, ‘২০১৫ সালে অভিজিৎজির সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তখনই আমার পড়াশোনার ভার বহনের জন্য তিনি হাত বাড়িয়ে দেন। আমাদের জন্য তিনি যা যা করেছেন, তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। নোবেল জয়ের জন্য তাঁকে অনেক শুভেচ্ছা। তাঁর জন্য আমরা খুব খুশি।’
বিবেকানন্দ স্কুলের সঙ্গে অভিজিতের সম্পর্ক অনেক পুরনো। কলকাতার সাউথ পয়েন্টের ছাত্র অভিজিতের শিক্ষিকা ছিলেন বিবেকানন্দ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গৌরী মজুমদার। শুধু তাই নয়, নোবেলজয়ীর মায়ের সহপাঠীও ছিলেন তিনি। এমনকী জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন অভিজিতের শিক্ষক ছিলেন গৌরীর স্বামী। পরবর্তীকালে মায়ের সূত্রেই পুরনো শিক্ষিকা গৌরীর সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ হয় অভিজিতের। তাই বিবেকানন্দ স্কুলে আর্থিক অনুদান দিতে বা স্কলারশিপ চালু করার জন্য অভিজিৎকে তখন আর দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি।