কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন একটি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেন, ‘এই জোট অটল রয়েছে। বিহারের বিধানসভা ভোটে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই লড়াই করবে এনডিএ। আর জাতীয় স্তরে এনডিএ-কে নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘মতানৈক্য সুষ্ঠু জোটেরই লক্ষ্মণ। মতভেদ হলে যে মনেরও ভেদ হবে, তার কোনও মানে নেই।’ যদিও, অমিতের এই মন্তব্যে বিহারের বিরোধী জোট শিবির বেশ মুষড়ে পড়েছে। বিরোধী শিবিরের আশা ছিল, আগামী বিধানসভা ভোটের আগেই বিজেপি-জেডি(ইউ) জোট ভেঙে যাবে। মনে করা হচ্ছিল, মোদি-শাহের আগ্রাসী নীতির মাধ্যমে বিহারেও অস্তিত্ব কায়েমের মরিয়া চেষ্টা করছে বিজেপি। আর তাই পরপর তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নীতীশ কুমারকে এবার আর জমি ছাড়বে না গেরুয়া শিবির। সম্প্রতি, গিরিরাজ সিং সহ রাজ্যের একাধিক বিজেপি নেতা নানান ইস্যুতে প্রকাশ্যে নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে সরব হন। বিজেপির সমালোচকদের পাল্টা জবাব দিতে আসরে নেমে পড়েন জেডি(ইউ) শিবিরের বহু নেতাও। দু’পক্ষের এই বিবাদের মধ্যেই একফাঁকে ‘লাভের গুড়’ খেয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বিরোধী শিবির। কিন্তু, বিজেপি সভাপতির এদিনের মন্তব্য বিরোধীদের সেই আশায় কার্যত জল ঢেলে দিল।
অমিত শাহের মন্তব্যে বিরোধীরা আশাহত হলেও জেডি(ইউ) শিবিরে নতুন উদ্যম চোখে পড়েছে। এদিন জেডি(ইউ)-এর সাধারণ সম্পাদক শ্যাম রজক ট্যুইটারে লেখেন, ‘নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই আগামী ভোটে লড়াই করার কথা বলার জন্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে ধন্যবাদ। এটা বিরোধীদের গালে একটা থাপ্পড়।’ সাধারণ সম্পাদক তো বটেই জেডি(ইউ)-র বিক্ষুব্ধ নেতা অজয় অলোকও এদিন দলেরই পাশে দাঁড়িয়ে সুর নরম করেছেন। তিনি ট্যুইট করেন, ‘অমিত শাহের এই মন্তব্য এনডিএ-কে আরও ইস্পাত-কঠিন করে তুলবে। এনডিএ-কে মজবুত করার ক্ষমতা একমাত্র নীতীশ কুমারেরই রয়েছে। জয় বিহার!’ এনডিএ-র শরিক এলজেপির সুপ্রিমো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে জানিয়েছেন, এনডিএ-র নেতৃত্ব নিয়ে এরপর আর কোনও সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই। সমস্তিপুরের এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘জোট ভাঙার সম্ভাবনার কথা ভেবে যাঁরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন, সেই বিরোধীরা এবার কী বলবেন?’