পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তবে কৌশলগতভাবে মোদি পলাতকদের তালিকা কিংবা সাহায্যকারীদের নাম মুখে আনেননি। তা হলেও তাঁর ইঙ্গিত খুবই স্পষ্ট। মুম্বই বিস্ফোরণের পর পরই দাউদ ইব্রাহিম, ইকবাল মেমনরা পাকিস্তানে পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল। আর তৎকালীন সময়ে মহারাষ্ট্রের শাসনে ছিল এনসিপি নেতৃত্বাধীন জোট। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে ছিলেন শারদ পাওয়ার। সেই সময় ডি কোম্পানির সদস্যদের পড়শি দেশে চলে যাওয়া নিয়ে রীতিমতো সরবও ছিলেন বিরোধীরা। এমনকী পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিও তুলেছিলেন তাঁরা। এখন নতুন করে মুম্বই বিস্ফোরণকে চাগিয়ে তোলার পিছনে বিজেপি হাতিয়ার করেছে এনসিপি নেতা প্রফুল্ল প্যাটেলকে। সম্প্রতি পাওয়ার ঘনিষ্ঠ এই নেতাকে নোটিস ধরিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দাউদের অন্যতম সহযোগী ইকবাল মেমন মির্চির পরিবারের সঙ্গে বেআইনি আর্থিক লেনদেনে জড়িত প্যাটেল। যে মামলার তদন্তে ‘কেঁচো খুঁড়তে কেউটে’ বেরিয়ে আসবে বলে আশাবাদী গেরুয়া শিবির। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ প্যাটেল নস্যাৎ করে দিয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যমের খবর।
মহারাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রচারে নেমে প্রথম থেকেই ৩৭০ ধারার অস্ত্রে বিরোধীদের নাগাড়ে আক্রমণ করে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গত কাল আকোলার জনসভা থেকেই মুম্বই বিস্ফোরণের ‘নয়া তত্ত্ব’ সামনে আক্রমণের ধার আরও বাড়ালেন তিনি। দর্শকদের উদ্দেশ্যে মোদি বলেন, ‘মহারাষ্ট্রে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের সেই অভিশপ্ত দিনের কথা মনে পড়ছে আপনাদের? বিশেষ করে মুম্বইয়ে ট্রেন, বাস, বিল্ডিংগুলিকে কীভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল! প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু সংখ্যক মানুষ। আর এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের মূলচক্রীরা ভারত ছেড়েছিল নিরাপদেই। কাদের সাহায্যে তারা শত্রু দেশে আশ্রয় নিয়েছিল, সেই তথ্য এবার প্রকাশ্যে আসছে। সাহায্যকারীদের সঙ্গে পলাতকদের ব্যবসায়িক কী সম্পর্ক ছিল, তাও কিছুদিনের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যাবে। অন্যদিকে, বিডের এক জনসভায় মোদি বলেছেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি নিয়ে যাঁরা আজ বিরোধিতা করছেন, তাঁদের ইতিহাস ক্ষমা করবে না। তাঁদের শাস্তি পেতেই হবে। আর সেই শাস্তি দেওয়ার প্রথম সুযোগ পাচ্ছে মহারাষ্ট্র।’