পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিকে বৃহস্পতিবারই পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার অজিত প্রসাদ সিংকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় নতুন এসপি আনা হয়েছে। বদলি করা হয়েছে এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিআইজিকেও। প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশি ব্যর্থতার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশি অভিযানে বাধা দেওয়ার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নারায়ণ করকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে প্রাক্তন মন্ত্রী পালিয়ে বেড়ালেও এই ঘটনায় সিপিএম রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেছে। আগরতলা সহ বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হচ্ছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বলেছেন, এটা বিজেপির চক্রান্ত। তাঁরা এর শেষ দেখে ছাড়বেন। পলিটব্যুরো সদস্য প্রকাশ কারাত দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে আগরতলায় গিয়েছিলেন। মিথ্যা অভিযোগে জেলে পাঠানোর চক্রান্তর অভিযোগ তিনিও করেছেন। পলাতক সিপিএম নেতা নিজেও সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। জেলা বিচারকের আদালতে আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় এবার হাইকোর্টে আপিল করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে রাজ্য বিজেপি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে অভিযোগ করেছে, বাম সরকারের সময় মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছাড়াই পূর্ত দপ্তরের প্রকল্পে অতিরিক্ত খরচ করা হয়েছে। রাজ্যের আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেছেন, এর থেকে বড় দুর্নীতি ত্রিপুরার ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি। ৬০০ কোটি টাকা খরচে ফ্লাইওভার সহ বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ২০০৮ সালে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে ৮০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ করা হয়। এত বেশি অতিরিক্ত খরচের জন্য মন্ত্রিসভার কোনও অনুমোদন না নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়।