কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অন্যদিকে, সরকার ঘটা করে আজ বিশ্ব খাদ্য দিবস পালন করলেও দেশে ক্ষুধার্তের সংখ্যা কমানো বা বিশ্ব তালিকায় নিজেদের ওপরের দিকে তুলে আনার তেমন কোনও নিশ্চিত পরিকল্পনাই নেই। বরং, সরকারের নীতির বদলে নাগরিকদের নিত্য অভ্যেস বদলের দাওয়াই দিচ্ছে কেন্দ্র। মোদি সরকারের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. কে সুব্রক্ষ্মণ্যম বলছেন, বাড়তি খাবার বাড়ির কাজের লোক বা ড্রাইভারকে দেওয়ার বদলে যারা একেবারেই খেতে পায় না, ক্ষুধার্ত, তাদের দিন। খাবার নষ্ট করার অভ্যেস বদলান।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. হর্ষ বর্ধনের দাওয়াই, কম খান। সুস্থ থাকুন। যতটা খেতে পারবেন, ততটাই প্লেটে নিন। বাড়িতে বাড়তি রান্না করবেন না। নয়াদিল্লিতে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্র্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (ফাসাই) আয়োজনে বিশ্ব খাদ্য দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথিদের গ্লাসের জল দেওয়ারও বিরোধিতা করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বলেন, পিপাসুকে অবশ্যই জল দিন। যতক্ষণ না তাঁর পিপাসা মিটছে তা দিন। কিন্তু অযাচিত কাউকে জল দেওয়ার লৌকিকতার তো কোনও প্রয়োজন নেই। এই অভ্যেস বদল করুন। এতে অহেতুক জলের মতো অমূল্য জিনিস নষ্ট হচ্ছে। এভাবেই ধীরে ধীরে অভ্যেস বদলালেই দেশে খাবার নষ্ট হওয়া বন্ধ হবে।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিদিন কমবেশি ৫০ হাজার মিলিয়ন টন খাবার নষ্ট হয়। বাড়তি রান্না ফেলে দিতে হয়। তাই পাতের পড়ে থাকা এঁটো খাবার ঘুণাক্ষরেও কাউকে দেওয়ার দেওয়ার কথা যেমন ভাববেন না, তেমনি বাড়তি খাবার ফেলে দেওয়ার আগে বিভিন্ন সংস্থাকে ডেকে তা গরিবদের দিয়ে দিন। এ ব্যাপারে সরকারের কোনও সংস্থা নেই ঠিকই। তবে যেসব বেসরকারি সংস্থা কাজ করছে, তাদের একজোট করার জন্য ফাসাই’কে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেন হর্ষ বর্ধন।
অথরিটির সিইও পবন আগরওয়াল জানান, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এনজিও’কে একজোট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জাতীয়স্তরে একটি টোল ফ্রি নাম্বারও তৈরি করার ভাবনাচিন্তা রয়েছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি বলেছেন, মোদি সরকারের উদ্যোগের যে অভাব রয়েছে, তা স্পষ্ট। প্রকৃত সমস্যার দিকে নজর দেওয়ার বদলে এই সরকার নানান ইস্যু তৈরি করে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করে। একইসঙ্গে কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারি বলেন, কেবল মনে করিয়ে দিতে চাই, এই সরকারের আমলে যেখানে দেশে ক্রমশ ক্ষুধার্তের সংখ্যা বাড়ছে, সেখানে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ আমলে ১৯০ মিলিয়ন লোককে গরিবি রেখার বাইরে আনা হয়েছিল।