গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তিনি জানিয়েছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের যুগলবন্দিতে দেশের ব্যাঙ্কিং সেক্টর সবচেয়ে খারাপ দশার মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল। দেশের অর্থমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রাথমিক দায়িত্ব এই ব্যাঙ্কগুলিকে একটি লাইফলাইন দেওয়া। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি অনাদায়ী ঋণের ভারে ন্যুব্জ। সরকার এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এবং সমস্যার মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতিমধ্যে ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ ঘটিয়ে চারটি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সে বক্তব্য রাখার সময় সীতারামন বলেন, ‘অর্থনীতিবিদরা চাইলে বর্তমান অবস্থা এবং কিছু বছর আগের অবস্থা খতিয়ে দেখতে পারেন। কিন্তু রঘুরাম রাজন যখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর ছিলেন, সেই সময়ে তিনি ভারতের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা নিয়ে যা বলেছিলেন, তার জবাব চাই। কারণ, সেই সময়ের জন্যই এখন ব্যাঙ্কিং সেক্টরকে লাইফলাইন দেওয়াটা দেশের অর্থমন্ত্রী হিসেবে আমার প্রাথমিক দায়িত্ব হয়ে উঠেছে। তবে লাইফলাইনের মতো জরুরি বিষয়টি কখনই একরাতের মধ্যে সম্পন্ন হওয়া সম্ভব নয়।’
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনকে অর্থনীতিবিদ হিসেবে সম্মান জানালেও সমালোচনা করতে ছাড়েননি সীতারামন। তিনি জানিয়েছেন, রঘুরাম রাজন যখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদে ছিলেন, সেই সময়ে নেতাদের একটি ফোনের পরেই ব্যাঙ্কগুলি থেকে ঋণ দিয়ে দেওয়া হতো। সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপের ফলে এই সরকারের আমলে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে উজ্জীবিত করতে ‘লাইফলাইন’ দিতে হচ্ছে বলেও মনে করে করিয়ে দেন তিনি।
দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা নিয়ে কংগ্রেস আমলকে তুলোধোনা করার পাশাপাশি সীতারামন জানিয়েছেন, ২০২৪-২৫ সালের ভারতকে বিশ্ব অর্থনীতির শক্তিকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা এবং দেশীয় অর্থনীতিকে পাঁচ লক্ষ কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিয়েছেন, তা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। তবে তা ধরাছোঁয়ার বাইরে নয়। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, চলতি আর্থিক বর্ষ শেষ হওয়ার আগেই আরও একাধিক সংস্কারের কথা ঘোষণা করা হবে।
অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরে জারি থাকা ৩৭০ ধারা নিয়েও মুখ খোলেন অর্থমন্ত্রী। সীতারামন জানান, ৩৭০ ধারা জারি থাকাকালীন রাজ্যের মহিলারা উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হতেন। রাজ্যের বাইরের কাউকে বিয়ে করার জন্যও তাঁরা পিতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হতেন। যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। সেই সময়ে তা নিয়ে কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কোনও কথা বলেননি। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পরেই বিশ্বজুড়ে সকলে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কথা বলছেন। অথচ, ৩৭০ ধারা জারি থাকাকালীন উপত্যকার মানুষদের কোনও মৌলিক অধিকারও ছিল না। আমার মনে হয়, যাঁরা কাশ্মীরের অর্থনীতি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন, তাঁদের এবার খুশি হওয়া উচিত। কারণ, এখন অন্তত সবাই সমান সুযোগ পাবেন।