বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত ৬ আগস্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার দৈনিক শুনানি শুরু হয়েছিল। এই মামলার প্রতিাপাদ্য রামমন্দির অথবা বাবরি মসজিদ হওয়া বা না হওয়া নয়। এই মামলার বিষয় হল, ওই আড়াই একর জমির অধিকার কার হাতে যাবে। ৪০ দিনের শুনানিতে তিন পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর, আজ প্রধান বিচারপতি দুপুরেই জানিয়ে দেন, যথেষ্ট হয়েছে, আজ বিকেলে পাঁচটার মধ্যেই শুনানি সমাপ্ত করা হবে। আজ শুনানি সমাপ্ত হলেও রায়দান স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। বলা হয়েছে, ১৭ নভেম্বরের মধ্যেই রায় ঘোষণা হবে। ১৭ নভেম্বরই অবসর গ্রহণ করতে চলেছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। ২০১০ সালের এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে অযোধ্যা মামলার সঙ্গে যুক্ত তিন পক্ষই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল। এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় ছিল অযোধ্যার বিতর্কিত আড়াই একর জমিকে তিন ভাগে বিভাজিত করা হবে তিন পক্ষের মধ্যে। তিন পক্ষ হল স্বয়ং রাম লালা, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং নির্মোহি আখড়া। তিন পক্ষই সেই রায় মানতে চায়নি। তাই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয় সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে।
গত ৬ আগস্ট থেকে শুরু হয় দৈনিক শুনানি। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট গঠন করেছিল বিশেষ মধ্যস্থতাকারী কমিটি। যে কমিটি অযোধ্যায় ঘুরে তিন পক্ষের সঙ্গেই কথা বলে একটি মীমাংসা সূত্র দেওয়ার চেষ্টা করবে। একাধিকবার কমিটির সময়সীমা সম্প্রসারণের পরও কোনও চূড়ান্ত মীমাংসা সূত্রে পৌঁছনো যায়নি। তবে সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া সেই রিপোর্টও পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট সাংবিধানিক বেঞ্চ খতিয়ে দেখেছে। আজ দুপুরে চরম নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আচমকা হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে একটি ম্যাপ পেশ করে নির্দিষ্ট স্থান চিহ্নিত করে প্রদর্শন করা হয় ঠিক কোথায় ছিল রামচন্দ্রের জন্মস্থান। মুসলিমদের পক্ষ থেকে শুনানিরত আইনজীবী সেই ম্যাপ নিয়ে আপত্তি তোলেন তাই নয়, ছিঁড়েও ফেলে দেন। প্রধান বিচারপতি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, এনাফ ইজ এনাফ। আজই সমাপ্ত হবে শুনানি।
দ্বিতীয় মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর একের পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যা ভারতীয় জনসঙ্ঘ ও পরবর্তীকালে বিজেপির একান্ত রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা। কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিলোপসাধন, অসমে এনআরসি হয়েছে। এ বার রামমন্দির ইস্যুও ফের মাথা চাড়া দিয়েছে এবং অবশেষে বিতর্কিত জমির অধিকার সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হয়ে এখন শুধু রায়ের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে থাকা।