কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এদিন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর হয়ে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিবাল ও অভিষেক মনু সিংভি। বিচারপতি আর ভানুমতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে চিদাম্বরমের আইনজীবীরা জানান, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টার মতো কোনও অভিযোগ নেই। অর্থ তছরুপেরও কোনও অভিযোগ নেই। গত ৩০ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাইকোর্ট পি চিদম্বরমের জামিনের যে আবেদন নাকচ করে দেয়, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আইনজীবীরা। আগামীকাল এই মামলায় সিবিআই পক্ষের সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতার বক্তব্য শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।
জানা গিয়েছে, দিল্লি হাইকোর্টে চিদম্বরমের জামিনের আবেদন শুনানির সময় তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল— দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট এবং সাক্ষীদের প্রভাবিত করা। এর মধ্যে দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা এবং তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করার ক্ষেত্রে হাইকোর্টের রায় যায় চিদম্বরমের পক্ষে। কিন্তু সাক্ষীদের প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে চিদম্বরমের বিপক্ষে রায় দেয় উচ্চ আদালত। এর ফলে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। আদালতের তরফে বলা হয়, চিদম্বরম দেশে ছেড়ে পালাবেন না বা তথ্যপ্রমাণ হয়তো নষ্ট করবেন না। কিন্তু জামিন পেলে তিনি হয়তো সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। গত সোমবার চিদম্বরমের পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ও তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করার বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের মনোভাবের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই।
এদিকে, দিল্লি হাইকোর্ট জামিনের আবেদন নাকচ করে দেওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তার ভিত্তিতে তদন্তকারী সংস্থার কাছে জবাব চেয়েছে শীর্ষ আদালত।
অন্যদিকে, আইএনএক্স দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি কংগ্রেস নেতা চিদম্বরমকে জেরা করার জন্য ইডিকে অনুমতি দিল দিল্লির এক আদালত। মঙ্গলবার বিশেষ বিচারক অজয়কুমার কুহার জানান, সিবিআইয়ের তরফে যে আইএনএক্স দুর্নীতি মামলা দায়ের করা হয়েছে, তাতে চিদম্বরমকে জেরা করতে পারবে ইডি। প্রয়োজনে তাঁকে গ্রেপ্তারও করতে পারবে।