বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু মোদি সরকারের মন্ত্রীরা সেকথা মানতে নারাজ। নানান চাপানউতোরের মধ্যেই দেশের অর্থনীতির বিপদ নিয়ে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের স্বামী তথা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ পরকাল প্রভাকর। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক নিবন্ধে কেন্দ্রের বিভিন্ন নীতির কড়া সমালোচনা করার পাশাপাশি দেশের শ্লথ অর্থনীতি নিয়েও আশঙ্কাপ্রকাশ করেন তিনি। প্রভাকর লিখেছেন, ‘সরকার অস্বীকার করলেও সকলের সামনে নানা পরিসংখ্যান আসছে। একের পর এক ক্ষেত্র কীভাবে চরম প্রতিকূলতার মুখে পড়ছে, তা এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট।’ দেশীয় অর্থনীতির ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরতে পরকাল প্রভাকরের এই নিবন্ধের প্রসঙ্গ টেনে আনেন মণীশ তিওয়ারি। তিনি জানান, দেশীয় অর্থনীতির এই গোটা পরিস্থিতিটাই এনডিএ-বিজেপি সরকার তৈরি করেছে। গত পাঁচ বছরে তারা যে সমস্ত নীতি গ্রহণ করেছে, তার জেরেই এই অবস্থা। এটা ‘ম্যানমেড’ বিপর্যয়। পিএমসি ব্যাঙ্ক বিপর্যয় এবং ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের প্রায় ৭৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ মকুবের ঘটনার জেরে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার উপর থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা নড়ে গিয়েছে। এই ইস্যুতে মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। সঞ্জয় গুলাটির মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে তিনি জানান, কেন্দ্রের নীতির জন্য দেশের অর্থনীতির যে বেহাল দশা, তা মানতে তৈরি নয় মোদি সরকার।
দেশীয় অর্থনীতির এই বেহাল দশা নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকার সমালোচনা করে চিঠি লিখেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অনেকে। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে সেই প্রসঙ্গও টেনে আনেন মণীশ তিওয়ারি। আইএনএক্স মামলায় কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমকে জেলবন্দি করে রেখেছে, তারও সমালোচনা করেন তিনি।
অপরদিকে, ভারতীয় অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের রেশ টেনে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিবালও। ছবি তোলা বাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কাজ করার কথাও বলেছেন তিনি।
কিছুদিন আগেই অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দেশের অর্থনীতির পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। এই মুহূর্তে তা থেকে বেরোনোর কোনও সম্ভাবনাও নেই। সেই প্রসঙ্গ টেনে সিবাল ট্যুইটে লেখেন, ‘মোদিজি কি শুনতে পাচ্ছেন?’ এরপরেই তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ছবি না তুলে কাজ করার জন্য উদ্যোগী হতে বার্তা দেন।