কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের এই চুক্তি প্রসঙ্গে শুরু থেকেই আপত্তি তুলে আসছিল মার্কিন সরকার। ইউক্রেন ও সিরিয়ায় সেনা মোতায়েন নিয়ে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে এমনিতেই সঙ্ঘাত রয়েছে। তার মধ্যে ২০১৬-র মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়েও জলঘোলা হয়েছে বিস্তর। এমন পরিস্থিতিতে ২০১৭ সালে ‘কাউন্টারিং আমেরিকাজ অ্যাডভারসারিজ থ্রু স্যাংশনস্ অ্যাক্ট’ (কাটসা) আইন চালু করে মার্কিন সরকার। তার আওতায় রাশিয়া, ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্রশস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনলে যে কোনও দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে তারা। যেকারণেই হুঁশিয়ারি দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এমতাবস্থায় ওয়াশিংটনের ডিসির ‘সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ’-এর একটি আলোচনাসভায় যোগ দিয়ে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, এস-৪০০ নিয়ে ভারত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে এবং তা মার্কিন সরকারকে জানানোও হয়েছে। নিজের দৌত্য ক্ষমতা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী আমি।
যদিও কূটনৈতিক এই টানাপোড়েনকে বিশেষ একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না ভারতীয় বায়ুসেনা। বায়ুসেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তরের এক কর্তা বলেন, আমাদের এখন ‘পাখির চোখ’ এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ। কারণ চিনুক, অ্যাপাচে, রাফাল চলে আসার পর এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ হাতে এসে গেলে আমাদের বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে।
বায়ুসেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এস-৪০০ ট্রায়াম্ফের পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার। এর দু’টি রেডার, এক বা একাধিক লঞ্চার ও একটি অস্ত্র কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে। এই মিসাইল সিস্টেমটিতে অত্যন্ত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রেডার এবং ইন্সট্যান্স ফায়ারের জন্য সিস্টেম থাকে। খুব সহজে বহনযোগ্য এই ব্যাটারিগুলো বিশেষ ট্রাকে করে যে কোনও স্থানে বহন করে নিয়ে যাওয়া যায়। এগুলো মরুভুমি ও ঠান্ডা অঞ্চল, দু’জায়গাতেই সমানভাবে কার্যকরী। এস-৪০০ পরিবহন করা ট্রাকগুলো অত্যন্ত উচ্চমানের এবং গতিসম্পন্ন।
এই সিস্টেমের একটি রেডার এক সঙ্গে ২০০ টার্গেট একসঙ্গে লক করতে পারে এবং একসঙ্গে ৩৬টি পর্যন্ত মিসাইল ফায়ার করতে পারে। এটি সাধারণত সার্চ অ্যান্ড অ্যাকুইজিশন রেডারস এবং অধিগ্রহণ রেডারস। এস-ব্যান্ড, এক্স-ব্যান্ড টাইপ এই রেডারগুলো প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে সর্বাধুনিক। এটিতে রয়েছে অতি অসাধারণ জ্যামিং প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা। এই মাল্টিমোড ফায়ারিং রেডার সব ধরনের প্রতিকূল আবহাওয়া, ইলেক্ট্রনিক কাউন্টার ব্যবস্থা (জ্যামিং আগ্রাসন), এবং সকল উচ্চতায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুঁজতে সক্ষম। আক্রমণ প্রতিহত করার ৩৬০ ডিগ্রি ক্ষমতা ছাড়াও, লক্ষ্যবস্তু আক্রমণের জন্য রয়েছে টুডি অথবা থ্রিডি নজরদারি সেন্সর, রয়েছে একসঙ্গে একাধিক লক্ষ্যবস্তু আক্রমণের সুবিধাও। যেকোনও আবহাওয়ায় কাজ করে এমন একটি বেতার তরঙ্গ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আক্রমণের ক্ষেত্রে সহায়তা করে, পাশাপাশি থাকছে ইনফ্রারেড-রেডার সিস্টেম এবং টু-ওয়ে ডেটা লিঙ্ক। এই রেডার থেকে মিসাইল কমান্ড প্রদান করে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্ষেপণাস্ত্র মারার নির্দেশ দেয়। শত্রুর বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র ঠিক কত উচ্চতায় এবং কোন অবস্থানে রয়েছে তা ডেটা প্রসেসিং করে মিসাইল ফায়ার করার আদেশ দেয়।