কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দেশ অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি হয়েছে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের দাবি। সরকারি রিপোর্টও তার আভাস দিচ্ছে। যদিও মোদি সরকার সরাসরি অর্থনৈতিক মন্দার বিষয়টি মানতে নারাজ। তা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক বাজার চাঙ্গা করতে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই কোনও না কোনও সুরাহা প্যাকেজ ঘোষণা করছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাড়ি, গাড়ি এমনকী বিস্কুট শিল্পও মন্দার মুখে পড়েছে বলেই রিপোর্ট। কিন্তু সরকার তা স্বীকার করতে চায় না। তারই মধ্যে গতকাল চলচ্চিত্র নগরী মুম্বইতে গিয়ে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, ‘গত ২ অক্টোবর জাতীয় ছুটির দিনেও তিনটি ছবি ১২০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে।’ অর্থাৎ বিষয়টা স্পষ্ট যে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালোই আছে।
তাঁর এই মন্তব্যের ভিডিও ফুটেজ সামনে আসতেই পাল্টা চেপে ধরেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির মতো বিরোধীরা। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডলে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর মুম্বইয়ের সাংবাদিক সম্মেলনের মিডিয়া ফুটেজকে জুড়ে বলেছন, সত্যের থেকে মুখ লুকোবে না। সোনিয়া কন্যা বলেছেন, এটা খুবই দুঃখের বিষয় যে দেশে লাখো লোক চাকরি হারাচ্ছেন। আর সরকারের জনতার জন্য কোনও দুঃখ নেই, ফিল্মের মুনাফা দেখছে। রবিশঙ্কর প্রসাদকে কটাক্ষ করে প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, ‘ফিল্মি দুনিয়ার বাইরে আসুন মন্ত্রীজি। সত্যের থেকে মুখ ঘোরাবেন না।’
অন্যদিকে, চেপে ধরেছেন ইয়েচুরিও। তিনি বলেছেন, রবিশঙ্কর প্রসাদের ওই সিনেমার মুনাফার উদাহরণ অত্যন্ত হাস্যকর। দেশে ১৩০ কোটি বাসিন্দা। তার মধ্যে গুটিকয় সিনেমা দেখেন। তারা টিকিট কিনে সিনেমা দেখছেন। কিন্তু বাকি দেশের যে বিরাট অংশ অর্থনৈতিক মন্দার মুখে পড়েছে, সেটা মন্ত্রীজি দেখতেই পাচ্ছেন না। ইয়েচুরি বলেছেন, রবিশঙ্কর প্রসাদের বক্তব্যটি ফরাসি বিপ্লবের সময়ের একটি মন্তব্যকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। যখন বলা হয়েছিল, মানুষ পাউরুটি কিনে খেতে পারছে না তো কেক খাক। সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, মন্দা মোকাবিলায় সরকারের ইতিবাচক উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তা না করে সিনেমার মুনাফা নিয়ে মাতামাতি করছেন। এ অত্যন্ত নিন্দনীয়।