পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আগামী ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লায় না গেলেও কোনও কর্মসূচি পালিত হবে কি না, তা নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কোনও ঘোষণা করেনি। লালকেল্লা দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংস্কৃতি মন্ত্রক গত বছর শেষ মুহূর্তে উদ্যোগী হলেও বেশ ঘটা করে অনুষ্ঠান করেছিল। এবার সেই মন্ত্রকের তরফে সেভাবে কোনও উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানা যায়নি। তবে এবার যে প্রধানমন্ত্রীর কোনও কর্মসূচি ওইদিন লালকেল্লায় হবে না, কেন্দ্রের সংস্কৃতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলের কথাতেই তার আভাস মিলেছে। প্যাটেল বর্তমানে ব্রাজিল সফরে রয়েছেন। তাঁকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত বছর আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর পূর্তি ছিল বলে প্রধানমন্ত্রী ওই দিনটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাই বলে প্রতি বছর তাঁর পক্ষে এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। তবে ওইদিন আমরা মন্ত্রকের তরফে নিশ্চয়ই কিছু একটা করব। আমি ১৪ অক্টোবর দেশে ফিরব। তারপর সব ঠিক হবে।
গত বছর আইএনএ দিবসে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা তুলে মোদি যেভাবে আজাদ হিন্দ সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন এবং নেতাজির বীরত্বের প্রশংসায় সরব হয়েছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে এবারও ২১ অক্টোবর তাঁর উপস্থিতি আশা করছিল নেতাজি অনুগামী বিভিন্ন সংগঠন। এমনকী, বসু পরিবারের সদস্যরাও আশায় বুক বেঁধেছিলেন। তবে একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার পরও এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় বসু পরিবারের সদস্যরা বেশ হতাশ। তাঁদের প্রশ্ন, ফি বছর ২১ অক্টোবর লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী কি জাতীয় পতাকা তুলবেন না? পরিবারের মুখপাত্র তথা বিজেপি’র রাজ্য সহ-সভাপতি চন্দ্রকুমার বসু বলেন, আমরা মোদিজিকে পরিবারের তরফে এই কর্মসূচির ব্যাপারে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনও সাড়া পাইনি। যদিও আমরা এব্যাপারে আশাবাদী।
জানা গিয়েছে, সরকারের হালচাল বুঝে নেতাজি অনুগামী অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারদের সংগঠন রাষ্ট্রীয় সৈনিক সংস্থার সভাপতি কর্নেল তেজপাল ত্যাগীও আলাদা করে একই দাবিতে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে এনিয়ে মুখোমুখি কথা বলার আর্জিও জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা তথা নেতাজি গবেষক জি ডি বক্সি। কিন্তু দিল্লি থেকে কেউই সদুত্তর পাননি।