কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কোঙ্কন অঞ্চলের মধ্যেই পড়ে মুম্বই। শুধুমাত্র মুম্বইয়েই রয়েছে ৩৬টি আসন। তবে সবচেয়ে বেশি নজর ওরলি আসনে। কারণ এই আসনেই এবার নির্বাচনী রাজনীতিতে হাতেখড়ি হচ্ছে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারের ছেলে আদিত্যের। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে এই প্রথম থ্যাকারে পরিবারের কোনও সদস্য ভোটের লড়াইয়ে। এমনিতে এই কোঙ্কন অঞ্চল বর্তমানে বিজেপি-শিবসেনা জোটের শক্ত ঘাঁটি। লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর কংগ্রেস-এনসিপির একঝাঁক নেতা বিজেপি-শিবসেনা শিবিরে ভিড়েছেন। ফলে সাদা চোখে বিরোধী জোটের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। কোঙ্কনে মূলত সরাসরি লড়াই বিজেপি-শিবসেনা বনাম কংগ্রেস-এনসিপি জোটের। তবে ছোটখাট আরও কিছু দল রাজনৈতিক অস্তিত্বের জানান দিতে লড়াইয়ে রয়েছে। কোঙ্কনের ৭৫টি আসনের মধ্যে ৪৪টিতে লড়ছে কংগ্রেস। এর মধ্যে মুম্বইয়ে তারা প্রার্থী দিয়েছে ২৯টি আসনে। জোটসঙ্গী এনসিপি কোঙ্কনের ১৮টি আসনে লড়ছে। এর মধ্যে মুম্বইয়ের পাঁচটি আসন রয়েছে। উল্টোদিকে রাজ্যে ক্ষমতাসীন জোটের বড় শরিক বিজেপি হলেও কোঙ্কন অঞ্চলে বেশি আসনে লড়ছে শিবসেনা। ৭৫টি আসনের মধ্যে কোঙ্কনে বিজেপি লড়ছে মাত্র ২৯টিতে। এর মধ্যে মুম্বইয়ে ১৭টি। ঘটনাচক্রে এই অঞ্চলে প্রস্তাবিত নানার রেফাইনারি প্রকল্প ঘিরে সংঘাত তৈরি হয়েছিল বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে। উদ্ধব থ্যাকারের দলের বক্তব্য, এই প্রকল্পের ফলে কোঙ্কনের জীব বৈচিত্র্য ও বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়াও এবার সাধারণ মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হল গোরেগাঁয়ে আরে কলোনির সবুজ ধ্বংস করে ২ হাজারের বেশি গাছ কেটে ফেলার ঘটনা। চর্চা তুঙ্গে পিএমসি ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি নিয়েও। এর মধ্যে নানার রিফাইনারি প্রকল্পের জোরালো বিরোধিতা করে চলেছে শিবসেনা। তীব্র চাপানউতোর কাটিয়ে লোকসভা ভোটের আগে শিবসেনার সঙ্গে জোট ঘোষণার সময় মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ দাবি করেছিলেন, ওই রিফাইনারি প্রকল্প কোঙ্কন থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু সম্প্রতি ‘মহা জনাদেশ যাত্রা’য় বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ইঙ্গিত ছিল, নানার প্রকল্পের কাজ শুরু করার জন্য স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলা হবে। ফড়নবিশ একথা বললেও শিবসেনার আবার দাবি, স্থানীয় মানুষ এই প্রকল্প চান না। চাই নানার রিফাইনারি প্রকল্পের অধ্যায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
পালঘর, থানে, রায়গড়, মুম্বই, রত্নগিরি ও সিন্ধুদুর্গ জেলা নিয়ে এই কোঙ্কন অঞ্চল গঠিত। আটটি পুরনিগমের নিয়ন্ত্রণই বিজেপি-শিবসেনা জোটের হাতে। থানে, রত্নগিরি, সিন্ধুদুর্গ ও মুম্বইয়ে শিবসেনার শক্তি বেশি। তবে ২০১৪ সাল থেকে মুম্বইয়ে শক্তি বাড়িয়ে চলেছে বিজেপি। থানে ও পালঘরেও তারা শক্তিশালী হয়ে উঠছে। উল্টোদিকে কংগ্রেস-এনসিপি শিবির কোঙ্কনের জমি ক্রমেই হাতছাড়া করে চলেছে। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে কংগ্রেস ও এনসিপির বহু নেতা ও বিধায়ক বিজেপি ও শিবসেনায় এসে যোগ দিয়েছেন। এই অবস্থায় কোঙ্কনের জনাদেশ এবার কোন শিবিরের কাছে আশীর্বাদ হয়ে আসবে, প্রহর গুনছে মারাঠাভূমি।