রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোট বাতিল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশবাসীকে গচ্ছিত ওই টাকা ব্যাঙ্কে জমা দিতে বলা হয়। সরকার জানিয়ে দেয়, টাকার অঙ্ক বেশি হলে, সরকার জানতে চাইবে কোথা থেকে এল তা। ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি জমা টাকার তথ্য জোগায় আয়কর দপ্তরকে। সূত্রের খবর, প্রথম ধাপে দেশজুড়ে প্রায় তিন লক্ষ কেসকে নজরে আনে দপ্তর। তার মধ্যে অন্তত ৮৭ হাজার কেসে দেখা যায়, মোটা টাকা ব্যাঙ্কে জমা পড়লেও, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোনও আয়কর রিটার্নই দাখিল করেননি। সেই কেসগুলি নিয়ে ফের তদন্তে নামে ইনকাম ট্যাক্স বিভাগ। তাতেই নজরে আসে কলকাতা সার্কেলের ৭ হাজার ৬১টি কেস।
সূত্রের খবর, নোট বাতিলের সময় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২৫ লক্ষের উপর নগদ টাকা জমা হওয়া কেসেই মূলত ওই তদন্ত শুরু হয়েছে। অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েক কোটি টাকা জমা পড়েছে, এমন কেসও প্রচুর। কেসগুলি গত সেপ্টেম্বরের মধ্যে কিনারা করার নির্দেশ দিয়েছিল দপ্তর। পরে তা ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ায় সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সেস। কিন্তু ডিসেম্বরের মধ্যে কি সব কাজ গুটিয়ে ফেলা সম্ভব? এই বিষয়ে আশার আলো দেখছেন না দপ্তরের কর্তারাই। তাঁরা বলছেন, ৭ হাজার ৬১টি কেসের মধ্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় ছ’হাজার কেসই ঝুলে আছে। তবে এই পরিস্থিতি যে শুধু এরাজ্যেই রয়েছে, তা নয়। প্রায় গোটা দেশেই অধিকাংশ সার্কেলে বড় সংখ্যক কেসের এখনও কোনও কিনারা হয়নি। দপ্তরের কর্তারা বলছেন, জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে, এমন কেসের সংখ্যার নিরিখে সবচেয়ে আগে আছে মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশ। দু’টি রাজ্যেই কেসের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। তারপর ঠাঁই হয়েছে তামিলনাড়ুর। সেখানে প্রায় সাড়ে আট হাজার কেসের কিনারা চলছে। দিল্লিতে ওই সংখ্যা সাড়ে সাত হাজারের কিছু বেশি।