কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পোস্ট অফিসে এটিএম কার্ড নতুন বিষয় নয়। কয়েক বছর আগে সেই কার্ডের ব্যবহার শুরু করেছিল ডাক বিভাগ। যেহেতু অন্যান্য অনেক পরিষেবার সঙ্গে তারা কিছুটা ব্যাঙ্কিং পরিষেবাও দেয়, সেই কারণেই এটিএম কার্ডও চালু করে তারা। খোলা হয় এটিএম কাউন্টার। কিন্তু সেই কাউন্টারের সংখ্যা এতই কম, তার হদিশ পাননি সিংহভাগ গ্রাহক। যেখানে এ রাজ্যেই লক্ষ লক্ষ মানুষ পোস্ট অফিসের গ্রাহক, সেখানে এটিএমের সংখ্যা ১০০ পেরয়নি। যেহেতু ডাক বিভাগের এটিএম ছাড়া সেই কার্ডগুলির অন্য কোথাও ব্যবহার ছিল না, তাই তা নিয়ে উৎসাহ দেখা যায়নি গ্রাহকদের মধ্যে। ফলে কার্ড নিয়ে ডাক বিভাগ তৈরি থাকলেও, তা বিলি করা যায়নি। পরবর্তীকালে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়ে দেয়, আর্থিক নিরাপত্তার কারণেই পুরনো এটিএম কার্ডগুলি বাতিল করা হবে। পরিবর্তে নিয়ে আসতে হবে ‘চিপ’যুক্ত কার্ড। সেই মতো প্রস্তুতি নেয় ব্যাঙ্কগুলি। ডাক বিভাগ অবশ্য সেই উদ্যোগে কিছুটা ঢিলেমি দেয়। তাদের কাছে চিপযুক্ত কার্ড না থাকায়, তারা তা জোগান দিতে পারেনি গ্রাহকদের।
ডাক বিভাগের পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, ইতিমধ্যেই আমাদের সার্কেলে চিপ বেসড এটিএম কার্ড আসতে শুরু করেছে। তা আমরা পোস্ট অফিসগুলিতে ধীরে ধীরে পাঠাতে শুরু করেছি। আগে শুধুমাত্র ডাক বিভাগের এটিএমগুলিতেই এটিএম কার্ডগুলি ব্যবহার করা যেত। এখন সেই কার্ড ব্যাঙ্কের এটিএমগুলিতেও ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহক। তবে কার্ডটি পিওএস মেশিনে বা শপিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। এই কার্ডগুলির জন্য গ্রাহককে আলাদা কোনও খরচও বহন করতে হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। গ্রাহক যদি পোস্ট অফিসে ওই কার্ডের জন্য আবেদন করেন, তাহলে জোগানের ভিত্তিতে তা মিলবে বলে জানিয়েছেন এ রাজ্যে পোস্ট অফিসের সর্বোচ্চ কর্তা। পুজোর আগেই রাজ্যের কয়েকটি পোস্ট অফিসে কার্ড পৌঁছে গিয়েছে। তবে সেখানকার কর্তারা জানাচ্ছেন, গ্রাহক সংখ্যার তুলনায় কার্ডের পরিমাণ কম। ডাককর্মীদের একাংশের বক্তব্য, এটিএম কার্ড সংক্রান্ত প্রচার যদি না চালানো হয়, তাহলে গ্রাহকরা সেই বিষয়ে উৎসাহী হবেন না। এর আগেও যখন পোস্ট অফিসগুলিতে এটিএম কার্ডের ব্যবহার শুরু হয়েছিল, তখনও তার প্রচার সেভাবে করেনি ডাক বিভাগ। তখন পরিকাঠামোগত ত্রুটি ছিল। প্রচার না থাকায় ত্রুটিও সামনে আসেনি।
ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড থাকলে গ্রাহককে বাড়তি খরচ গুনতে হয়। এমনকী প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি কার্ড ব্যবহার করলেও দিতে হয় বাড়তি চার্জ। সেই সমস্যা এখনও পর্যন্ত ডাক বিভাগের এটিএমে না থাকায়, গ্রাহক আর্থিকভবে খানিকটা রেহাই পাবেন বলেই জানাচ্ছে ডাক বিভাগ।