মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
জাঠ অধ্যুষিত সোনেপতের মধ্যেই পরে এই বরোদা আসনটি। গত (২০১৯) লোকসভা নির্বাচনে হরিয়ানার ১০টি লোকসভা আসনেই জিতেছে বিজেপি। কিন্তু, বরোদা বিধানসভা এলাকায় তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এমনকী, বিজেপি দ্বিতীয় স্থানও বজায় রাখতে পারেনি। ১৯৭৭ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত এই আসন ছিল আইএনএলডির দখলে। পরের দু’বার জিতেছে কংগ্রেস। ওলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জয়ী যোগেশ্বর দত্ত অবশ্য আশাবাদী, তিনি এই ছবিটা বদলাতে পারবেন। কাছেরই গ্রাম বৈশয়াল কালানে জন্ম যোগেশ্বরের। তাই, ‘ভূমিপুত্র’কে নিয়েই জোর প্রচারে নেমেছে বিজেপি। যোগেশ্বর এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘কারও গড় বলে কিছু হয় না। বরোদা হল মানুষের গড়। আমার জন্ম এবং মুষ্টিযুদ্ধে হাতেখড়ি এখানেই।’ যোগেশ্বরের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু। চলতি সপ্তাহেই তাঁর হয়ে প্রচারের জন্য আসছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অন্যদিকে, কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী মুষ্টিযোদ্ধা ববিতা ফোগত এবং প্রাক্তন হকি তারকা সন্দীপ সিংয়ের হয়ে প্রচারের জন্য আসছেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী মোদি দাদরি এবং থানেশ্বরে প্রচারে আসছেন ১৫ অক্টোবর। থানেশ্বর বিধানসভা আসনের পাশেই পেহওয়া। তাই থানেশ্বরে মোদির মঞ্চে থাকবেন সন্দীপ সিং। ফোগত এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমি হলাম তরুণ ও মহিলাদের প্রতিনিধি। আন্তর্জাতিক মঞ্চে পদক জেতার পর প্রতিটি সংবর্ধনা মঞ্চে বিপুল মানুষ আমাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন।’ ২০১৪ সালে পেহওয়া আসনে মাত্র ১ হাজার ৬১০ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। পেহওয়ার কাছেই কুরুক্ষেত্রের শাহবাদ গ্রামে জন্ম সন্দীপের। ২০১৪-র নির্বাচনে এখানে প্রায় ১০ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল বিজেপি। তবু, এবার তাদের আশা, ভাগ্যের চাকা ঘুরবেই। সন্দীর এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘গুগলে শাহবাদ লিখে সার্চ করলে প্রথমেই হকির কথা উঠে আসবে। আমি এখানকার মানুষদের কথা দিয়েছি, জিতলে আমার নামের সঙ্গে পেহওয়া শব্দটি যোগ করব।’ হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর রবিবার সন্দীপের এক নির্বাচনী প্রচারসভায় হকি তারকার ঐকান্তিকতার ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। তাঁর আশা, ওই আসনে এবার ভোটাররা বিজেপির পক্ষেই রায় দেবেন।