বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মঙ্গলবার সেই স্বস্তিই ধরা পড়েছে রাজনাথের গলায়। সমস্ত সমালোচনা অবজ্ঞা করে যেভাবে ভারত রাফাল চুক্তি সেরেছে, তারজন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায়, ‘এই যুদ্ধবিমান ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি বহুগুণ বাড়াবে। তবে এই শক্তি কখনও আক্রমণের জন্য নয়, আত্মরক্ষার উদ্দেশে এটা ব্যবহার করা হবে। এই মাইলস্টোনে পৌঁছনোর পুরো কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তাঁর সময়োচিত দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এই শক্তিবৃদ্ধি সম্ভব হল।’
২০২২ সালের এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে বরাত দেওয়া ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমানই ভারত হাতে পেয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এরমধ্যে প্রথম ১৮টি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভারতে চলে আসবে। বায়ুসেনার চাহিদা মেনে ১৩টি রাফাল যুদ্ধবিমান বিশেষভাবে ভারতের প্রযুক্তির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে তৈরি করা হয়েছে। এগুলি পাঞ্জাবের আম্বালা এবং পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারায় রাখা হবে। রাজনাথের সঙ্গেই ফ্রান্স সফরে এসেছেন উপ বায়ুসেনা প্রধান এয়ার মার্শাল হরজিৎ সিং অরোরা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দুই সীমান্ত পাহারা দেওয়ার কাজে আমাদের চাহিদা অনুযায়ী এই যুদ্ধবিমানগুলি বায়ুসেনার শক্তি অবশ্যই বাড়াবে। এগুলি আমাদের বায়ুসেনার সবচেয়ে শক্তিশালী অংশ হতে চলেছে।’ রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতের হাতে তুলে দেওয়া উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। রাফাল চুক্তি এবং সরবরাহের মাধ্যমে ভারত ও ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক অন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে রাজনাথ সিং মন্তব্য করেন।
বুধবার ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লির সঙ্গে বৈঠক সারেন রাজনাথ। সন্ত্রাসের বিরোধিতায় দুই দেশ সহমত হয়েছে বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। বৈঠকের পরে রাজনাথের ট্যুইট, ‘ফ্রান্সের আর্মড ফোর্সেস মন্ত্রী মিস ফ্লোরেন্স পার্লির সঙ্গে বার্ষিক প্রতিরক্ষা বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্কের সব দিক আমরা খতিয়ে দেখেছি।’ দুই দেশই যৌথ সেনা মহড়া (শক্তি, বরুণ এবং গড়ুর) আরও প্রসারিত করার ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এদিকে, রাফালের ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক সংস্থা সাফরানের সিইও অলিভিয়ার আন্দ্রের একটি মন্তব্য এতকিছুর মধ্যেও ভারতের পক্ষে গলার কাঁটা হয়ে থাকল। বুধবার রাজনাথ সাফরানের সদর দপ্তরে যান। সাফরানের পক্ষ থেকে ভারতে ১৫ কোটি ডলার বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়। প্রশিক্ষণ এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম মেরামতের জন্য এই বিনিয়োগ করা হবে বলে জানান অলিভিয়ার। এরপরেই অলিভিয়ার ভারতের ‘কর সন্ত্রাস’ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘ভারতে আমরা মেরামতের কেন্দ্র গড়তে বিনিয়োগ করতে চাই। তার আগে আমরা নিশ্চিত হতে চাই যে আমাদের ভারতের কর এবং অন্তঃশুল্ক ব্যবস্থার মাধ্যমে সন্ত্রাসের শিকার হতে হবে না।’ উত্তরে রাজনাথ বলেন, বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ গড়তেই ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।