শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির রিপোর্ট তাদের হাতে এসেছে। ওই রিপোর্টে আবেদনকারীদের আদালতে যেতে না পারার কোনও পরিস্থিতির কথা উল্লেখ নেই। অর্থাৎ জম্মু ও কাশ্মীরের আদালতে অবাধ যাতায়াতে বিচারপ্রার্থীদের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না। শুনানির শুরুতেই আইনজীবী হাজেফা আহমেদিকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির পাঠানো রিপোর্ট আপনার দাবিকে সমর্থন করছে না।’ তবে জম্মু ও কাশ্মীরে শিশুদের বেআইনি আটক করার বিষয়ে দায়ের করা মামলাটি গ্রহণ করেছে সর্বোচ্চ আদালত। এ ব্যাপারে জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের জুভেনাইল জাস্টিস কমিটির কাছে একটি রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছে বেঞ্চ। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। রাজ্যের হয়ে শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। বেঞ্চের কাছে তিনি আর্জি রাখেন, মামলাটি অবিলম্বে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের কাছে স্থানান্তরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিক সর্বোচ্চ আদালত।
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার ৪৭ দিন পরও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেনি উপত্যকা। এখনও বন্ধ টেলিকম ও ইন্টারনেট পরিষেবা। ছোটখাটো বিক্ষোভ, গোলমালের ঘটনাও ঘটছে। তার মধ্যেই শুক্রবারের প্রার্থনাসভা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছিল প্রশাসনের। সেই কারণে এদিন বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায়। কুপওয়ারা, হান্দওয়ারা, অনন্তনাগ, বিজবেহারা, নওহাটা সহ একাধিক জেলায় জারি ছিল ১৪৪ ধারা। নওহাটার জামিয়া মসজিদ, হজরতবালের দরগা শরিফ সহ বেশ কয়েকটি নামকরা মসজিদে প্রার্থনা সভার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছিল প্রশাসন। এদিকে, মোবাইল, টেলিফোন ও ইন্টার পরিষেবা বন্ধ থাকলেও টেলকম সংস্থাগুলি বিল পাঠিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন কাশ্মীরবাসী। এদিন সফকাদল এলাকার বাসিন্দা ওবাইদ নবি বলেছেন, ‘গত ৫ আগস্ট থেকে আমার মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। অথচ, আমার কাছে ৭৭৯ টাকার একটি বিল পাঠিয়ে পরিষেবা প্রদানকারী একটি সংস্থা।’ একই অভিযোগ তুলেছেন উপত্যকার অন্য এক বাসিন্দা মহম্মদ উমরও।