শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
গত সোমবার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে বয়ান দেন শাহজাহানপুরের আইনি পড়ুয়া। সেখানে ২৩ বছরের ওই তরুণী অভিযোগ করেন, গত এক বছর ধরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করেছেন। তারপর এদিন সকাল ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ বিশাল পুলিসবাহিনী নিয়ে চিন্ময়ানন্দের আশ্রমে যায় সিট। গ্রেপ্তার করা হয় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। পাশাপাশি, চিন্ময়ানন্দের থেকে অর্থ লোপাটের অভিযোগে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস।
উত্তরপ্রদেশ পুলিসের ডিজিপি ও পি সিং বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে চিন্ময়ানন্দকে গ্রেপ্তার করেছে সিট। এবং তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। পরে তাঁকে আদালতে তোলা হলে বিচারক চিন্ময়ানন্দের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।’ সরকারি আইনজীবী কুলদীপ সিং বলেছেন, চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে যৌন সংসর্গ, নজরদারি, বলপূর্বক আটকে রাখা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনি পড়ুয়া তরুণীর অভিযোগের পর প্রায় এক মাস পর গ্রেপ্তার হলেন চিন্ময়ানন্দ। এদিন তিনি নিজের ‘কুকর্মে’র কথা স্বীকার করে নেন। বলেন, ‘আমি লজ্জিত’।
গত ২৩ আগস্ট ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনেন আইনি পড়ুয়া। পরে তিনি দাবি করেন, চিন্ময়ানন্দ তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। এবং বিজেপি নেতার সেই সমস্ত কীর্তি তিনি গোপন ক্যামেরায় বন্দি করে রেখেছেন। তাঁর অভিযোগের স্বপক্ষে সিটের কাছে ৪৩টি ভিডিও ক্লিপের একটি পেন ড্রাইভ জমা করেন ওই তরুণী পড়ুয়া। ডিজিপি বলেন, ‘তদন্তে কোনও বিলম্ব নেই। বিষয়টি নিয়ে সিট নিবিড়ভাবে তদন্ত করছে। তরুণীর জমা দেওয়া সমস্ত ভিডিও এবং চিন্ময়ানন্দের অর্থ তছরুপের ভিডিও ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তারপরেই চিন্ময়ানন্দ এবং বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার করে সিট।’
এর আগে ওই তরুণী হুমকি দিয়েছিলেন, চিন্ময়ানন্দকে গ্রেপ্তার করা না হলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। এদিন বিজেপি নেতার গ্রেপ্তারের পর সেই বিষয়টিকে হাতিয়ার করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়াধেরা। তিনি বলেন, আত্মহত্যার হুমকি দেওয়ার জন্যই চিন্ময়ানন্দকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিস। ট্যুইটারকে হাতিয়ার করে রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত কং নেত্রী বলেন, ‘এই বিজেপি সরকার এতটাই মোটা চামড়ার যে ধর্ষিতা তরুণীর আত্মহত্যার হুমকির পরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হল। এটাই হল জনগণ ও সাংবাদিকতার ক্ষমতা, যে চিন্ময়ানন্দকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হল সিট।’ প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিট।