শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
পাকিস্তানি সেনা ভারতে সন্ত্রাস ছড়াতে জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে। তথ্য প্রমাণ দিয়ে একাধিকবার এই অভিযোগ তুলেছে নয়াদিল্লি। কিন্তু বরাবর তা অস্বীকার করে এসেছে ইসলামাবাদ। গোটা বিশ্বের কাছেও এই ইস্যুতে যথেষ্ট চাপে রয়েছে ইমরান খানের দেশ। জঙ্গি সংগঠনের আর্থিক মদত বন্ধ করতে না পারায় এমনিতেই তাদের উপর শাস্তির খাঁড়া ঝুলছে। এতদসত্ত্বেও পাকিস্তান আছে, পাকিস্তানেই। ভারতীয় সেনা ভিডিও প্রকাশ্যে আনার পর, তা আরও একবার সামনে চলে এল।
এদিকে, ভারতে নাশকতা ছড়াতে আবারও বড়সড় পরিকল্পনা করছে আইএসআই। এই কাজের জন্য পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে কয়েকশো দলিত পাশতুনকে জড়ো করা হচ্ছে। তাদের ব্যবহার করে ভারত ভূখণ্ডে সন্ত্রাস ছড়াতে চাইছে পাক সেনা। একটি বেসরকারি চ্যানেলের সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। ওই চ্যানেলের তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বাসে করে কয়েকশো মানুষকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিয়ে আসা হচ্ছে।
সেনা সূত্রে খবর, পাকিস্তান সেনা বিগত কয়েকমাসে বেশ কয়েকবার ভারতে জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা করেছে। এজন্য নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বেশ কিছু লঞ্চপ্যাডও গড়ে তুলেছে তারা। ভারতে প্রবেশ করার জন্য প্রায় ২৫০ জঙ্গি অপেক্ষা করে আছে। জঙ্গিদের অনুপ্রবেশে সাহায্য করার জন্য সীমান্ত বরাবর কালিঘাটি এলাকায় বিশেষ যোগাযোগ কেন্দ্রও স্থাপন করেছে পাকিস্তানি সেনা। গোটা বিষয়ে সরাসরি মদত রয়েছে ইমরান খান সরকারের। অন্যদিকে, পাকিস্তানের পাঞ্জাবে জোরকদমে চলছে জঙ্গি নিয়োগ কর্মসূচি। জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তোইবা, জয়েস-ই-মহম্মদ তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। মুজফ্ফরাবাদ, মানসেরা, কোটলির একাধিক জঙ্গিঘাঁটিতে এই প্রশিক্ষণ চলছে।
এদিন সেনার এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, উরি, কেরন, পুঞ্চ, মেন্ধর ও নৌসেরা সেক্টারের কাছে পাকিস্তান বিপুল সংখ্যক বর্ডার অ্যাকশন টিম (ব্যাট) ও জঙ্গি জড়ো করেছে। পাক সেনার সাহায্যে যে কোনও সময় তারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাতে পারে। ব্যাট সদস্য ও জঙ্গিদের সাহায্য করতে পাকিস্তানি স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপকেও সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে। ১১-১২ সেপ্টেম্বর এবং ১২-১৩ সেপ্টেম্বর এদের সাহায্যেই অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছিল। ভারতীয় বাহিনীর তৎপরতায় তা ব্যর্থ হয়। পাশাপাশি সব অনুপ্রবেশকারীকে নিকেশ করে সেনা।
প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর ভারতকে কোণঠাসা করতে একাধিকবার চেষ্টা চালিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর পার্ষদরা। কিন্তু, সব জায়গা থেকে মুখ কালো করেই ফিরেছেন তাঁরা। এমনকী, দীর্ঘদিনের বন্ধু চীন শুরুতে পাশে থাকলেও পরে ভারতের সুরেই সুর মেলাতে থাকে। এতেই আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে পাকিস্তান। যার ফলস্বরূপ একের পর এক অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।