শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
দেশজুড়ে হিন্দি ভাষা চালু করার বার্তা দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর বক্তব্যের পরেই বিষয়টি নিয়ে তুমুল তরজা শুরু হয়। বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলির তরফে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরোধিতা করে সুর চড়ান ডিএমকে সভাপতি এম কে স্ট্যালিন এবং কংগ্রেস নেতা তথা কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া। তাঁদের সুরে সুর মিলিয়েই এদিন অমিত শাহের মন্তব্যের সমালোচনা করেন দক্ষিণী সুপারস্টারও। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ‘থালাইভা’ বলেন, ‘শুধুমাত্র ভারতের জন্যই নয়, যে কোনও দেশের একতা ও প্রগতির জন্য এক ভাষা অবশ্যই কার্যকরী। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশে কেউ এক ভাষা চালু করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে, আপনি যদি দেশজুড়ে হিন্দি ভাষা চালু করতে চান, তবে তামিলনাড়ু সহ দক্ষিণের রাজ্যগুলি তা মানবে না।’
গত শনিবার হিন্দি দিবসে অমিত শাহের একটি মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। হিন্দির পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে বহু ভাষা রয়েছে এবং প্রতিটি ভাষার গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু গোটা দেশে একটি বিশেষ ভাষা থাকাটা খুবই প্রয়োজনীয় যা গোটা বিশ্বে দেশের পরিচিতি হবে।’ এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে সরব হন একাধিক আঞ্চলিক দলের নেতানেত্রীরা। অমিত শাহের মন্তব্যের বিরোধিতা করে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানান, বিতর্ক উস্কে দেশের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি থেকে নজর ঘোরানোর লক্ষ্যে এটি ‘পরিকল্পিত চেষ্টা’। বিজয়নের মতোই তাঁর দল সিপিএমের তরফেও এদিন অমিত শাহের মন্তব্যের কড়া বিরোধিতা করা হয়। সিপিএমের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়, কোনও একটি ভাষাকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা দেশের একতাকে বিঘ্নিত করবে। হিন্দি জাতীয় ভাষা হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত বলে শাহ যে মন্তব্য করেছেন তা ভারতীয় সংবিধান ও আমাদের দেশের ভাষাতাত্ত্বিক বৈচিত্রের পরিপন্থী। অভিনেতা-রাজনীতিবিদ কমল হাসান জানান, জোর করে হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে বড়সড় আন্দোলনে নামবে মাক্কাল নিধি মাইয়ম।
এই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন ডিএমকে সভাপতি এম কে স্ট্যালিন। তিনি জানান, গায়ের জোরে দেশজুড়ে হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। এর মধ্যে দিয়ে বিজেপি সরকারের স্বেচ্ছাচারী মনোভাবই প্রকাশ পেয়েছে। কেন্দ্রের এহেন সিদ্ধান্তের মোকাবিলায় বিরোধী দলগুলির একজোট হওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও শোনা যায় তাঁর গলায়। কেন্দ্রীয় সরকারের এহেন মনোভাবের বিরোধিতা করেন পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ ও কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া।