কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
কেন্দ্রীয় পার্সোনেল মন্ত্রকের এই নির্দেশিকা কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসে কার্যকর হবে। তাই রাজ্য সরকারি অফিসে কর্মরত অস্থায়ী কর্মীদের বেতনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নীতি তৈরির দাবি করেছে কর্মী সংগঠনগুলি। চুক্তি ভিত্তিক নিযুক্ত অস্থায়ী কর্মীদের জন্য ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একটি নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য সরকার। তাতে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরির নিরাপত্তা ছাড়াও বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। এর মধ্যে নির্দিষ্ট বেতন, নিয়মিত বেতন বৃদ্ধি, ছুটি, অবসরের পর এককালীন অর্থ দেওয়া প্রভৃতি রয়েছে। পরবর্তীকালে এই বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। এবারের বাজেটে অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য দুই হাজার টাকা করে বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু সরকারি দপ্তরে চুক্তিতে নিযুক্ত অস্থায়ী কর্মীদের সবাই এই সুবিধাগুলি পাচ্ছেন না। মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে সব নিয়ম মেনে যে অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হয়েছিল, তাঁরাই সুবিধা পাচ্ছেন। এর বাইরে সরকারি দপ্তরে বহু চুক্তিতে নিযুক্ত অস্থায়ী কর্মী কাজ করেন। বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমেও এই কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে।
তৃণমূল প্রভাবিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের মেন্টর কমিটির সদস্য মনোজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সরকারি বিজ্ঞপ্তির আওতাভুক্ত অস্থায়ী কর্মীরা এখন ১০ হাজার টাকার বেশি বেতন সহ অন্যান্য সুবিধা পান। কিন্ত এর বাইরে থাকা কর্মীরা অনেক কম বেতনে কাজ করছেন। এই বিষয়টি অনেকবার বিভিন্ন দপ্তরের নজরে আনা হয়েছ। এজেন্সির মাধ্যমে নিযুক্ত ডেটা এন্ট্রি অপারেটারদের অনেকেই এখনও ৬-৭ হাজার টাকা বেতন পান। ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরির নিরাপত্তা, ছুটি, অবসরকালীন প্রাপ্য- কিছুই মেলে না। সেচ দপ্তরে নোটিস সার্ভার, ভূমি দপ্তরে ওয়াটার ক্যারিয়ার এবং সুইপাররা তো আরও কম বেতনে কাজ করছেন। মাসে পাঁচ হাজার টাকাও অনেকে পান না। ন্যূনতম মজুরি আইন অনুযায়ী বেতন দেওয়া হলেও তাদের আয় বাড়বে। কারণ শ্রম দপ্তর নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৬ হাজার থেকে ১০-১১ হাজার টাকা পর্যন্ত। অনেক অফিসে অস্থায়ী কর্মীদের দিয়ে স্থায়ী কর্মীদের কাজও করানো হচ্ছে। যদিও বেতন দেওয়া হচ্ছে অনেক কম।
গ্রাম পঞ্চায়েতে চুক্তি ভিত্তিক নিযুক্ত কর্মীরা সম্প্রতি নদীয়ায় সম্মেলন করে নিয়মিত বেতন ও বেতন বৃদ্ধির দাবি করেছেন। গ্রাম পঞ্চায়েতে হিসেব-নিকেশের কাজ কম্পিউটারে করার জন্য এই কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের বেতন পাঁচ-ছয় হাজার টাকা। কিন্তু চতুর্দশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ থেকে বেতন দেওয়া শুরু হওয়ার পর থেকে নিয়মিত বেতন মিলছে না বলে মনোজবাবুর অভিযোগ।