কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
টানা প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই প্রবল বৃষ্টির জেরে ফুঁসছিল গোদাবরী। বানভাসিও হয়েছে অন্ধ্রের বহু এলাকা। ফলে বানের জলে রবিবারও খরস্রোতা ছিল গোদাবরী। এদিন দেবীপট্টনম এলাকা সংলগ্ন গণ্ডী পঞ্চম মন্দির থেকে পর্যটকদের নিয়ে নদীপথে যাত্রা শুরু করে নৌকাটি। গন্তব্য ছিল অন্ধ্রের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র পপিকোন্ডালু। কিছু দূর যাওয়ার পরই কাচ্ছুলুরুতে প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে উল্টে যায় সেটি। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অন্ধ্রপ্রদেশ পর্যটন উন্নয়ন পর্ষদের দু’টি নৌকা ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে পর্ষদের কর্মীরাই উদ্ধারকাজ শুরু করেন। কিন্তু গোদাবরীর ভয়ঙ্কর স্রোত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। পরে উদ্ধারকাজে নামেন এনডিআরএফ কর্মীরা। পুলিস সূত্রে খবর, রাত পর্যন্ত তলিয়ে যাওয়া ১২ জন পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
পূর্ব গোদাবরী জেলার পুলিস সুপার আদনান নঈম আসমি জানিয়েছেন, এখনও বহু পর্যটক নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারে সবরকম চেষ্টা চলছে। জানা গিয়েছে, পর্যটকদের পাশাপাশি নৌকাটিতে মাঝি সহ ১১ জন কর্মী ছিলেন। অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে উদ্ধারকাজে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিস-প্রশাসনকে। সেই সঙ্গে মন্ত্রী-বিধায়কদেরও ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নৌকাটি রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন পর্ষদের নিয়ন্ত্রণাধীন। যদিও পর্যটনমন্ত্রী এম শ্রীনিবাস রাও জানিয়েছেন, যাত্রী পরিবহণে ওই নৌকাটির কোনও লাইসেন্স ছিল না। কাকিনাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষ যাত্রী পারাপারে অনুমোদন দিয়েছিল বলে তিনি জানতে পেরেছেন। পুরো ঘটনাটি নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের পুলিসমন্ত্রী।