কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
গত জুলাই মাসে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ বা কাজের পরিধিতে পরিবর্তন আনে কেন্দ্র। এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ না হয়ে যাওয়া তহবিল কীভাবে প্রতিরক্ষা ও দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় কাজে লাগানো যায়, তার পথ খুঁজতে কমিশনের প্যানেলকে বাধ্য করা হয়। এদিন দিল্লিতে আয়োজিত অর্থ কমিশন নিয়ে আলোচনাচক্র ‘ন্যাশনাল সেমিনার অন অ্যাডিশনাল টার্মস অব রেফারেন্স অব দ্য ফিফ্টিথ ফিনান্স কমিশন: ইমপ্লিকেশন ফর দ্য স্টেটস’-এ যোগ দেন মনমোহন। সেখানে তিনি বলেন, রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করে কমিশনের প্যানেলের কাজের পরিধিতে বদল আনা উচিত। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার যদি কাজের পরিধি কাটছাঁট করতেই চায়, সেক্ষেত্রে সবথেকে ভালো হতো যদি তারা মুখ্যমন্ত্রীদের কনফারেন্স ডেকে সমর্থন আদায় করে নিতে। তা না হলে রাজ্যগুলির মধ্যে এমন একটা মনোভাব তৈরি হবে যে, তাদের খরচ না করা বরাদ্দ ছিনিয়ে নিতে চাইছে কেন্দ্র।’
এরপরেই মোদি সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত বলে তোপ দাগেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে ‘উদ্ভট’ আখ্যা দিয়ে মনমোহন বলেন, ‘আমরা যে যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতি ও কাঠামোয় বিশ্বাসী তার জন্য এই সিদ্ধান্ত ভালো নয়।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী কমিশনের রিপোর্ট অর্থমন্ত্রকে যায় এবং সেখান থেকে মন্ত্রিসভায়। তারপর সংসদে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা সরকার মেনে চলবে কি না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় বা একতরফাভাবে ভাবে অনিচ্ছুক রাজ্যগুলির উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়।’ প্রসঙ্গত ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, এন কে সিংয়ের নেতৃত্বাধীন পঞ্চদশ অর্থ কমিশন ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে রাজ্যগুলিকে বরাদ্দ করা কেন্দ্রীয় অর্থ বিকেন্দ্রীকরণ করবে।