কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
সূত্রের খবর, ২৩ বছর বয়সি ওই ছাত্রী ১২ পাতার একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। সেখানে তিনি জানান, গত বছর জুন মাসে শাহাজাহানপুরে অবস্থিত চিন্ময়ানন্দের আইন কলেজে ভর্তির জন্য প্রথমবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর ফোন নম্বরও নিয়ে নেন ওই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কলেজের লাইব্রেরিতে ৫ হাজার টাকা বেতনের একটি চাকরিরও প্রস্তাব দেন তিনি। নিগৃহীতা জানিয়েছেন, তাঁর পরিবার অত্যন্ত গরিব হওয়ার কারণে, পড়াশুনো চালাতে তিনি সেই চাকরিতেও যোগ দেন। এরপর ওই বিজেপি নেতা তাঁকে কলেজের হস্টেলে চলে আসতে বলেন। তারপরই সমস্যার সূত্রপাত।
আইনের ওই ছাত্রী তাঁর অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, একদিন তাঁকে চিন্ময়ানন্দের আশ্রমে ডাকা হয়। সেখানে হস্টেলের বাথরুমে তাঁর স্নান করার ভিডিও দেখানো হয়। সেই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন তাঁকে ধর্ষণ করা হত। ধর্ষণের সময় ভিডিও করে রাখত চিন্ময়ানন্দের লোকজন। চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত এই ঘটনা চলতে থাকে। অবশেষে, চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করে তিনি কলেজ থেকে পালিয়ে যান। পরে, তাঁকে রাজস্থানে খুঁজে পাওয়া যায়।
গত সপ্তাহে দিল্লিতে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। পাশাপাশি, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের উপর তাঁর কোনও আস্থা নেই বলেও জানিয়েছিলেন নিগৃহীতা। তিনি আরও জানান, শাহাজাহানপুরের জেলাশাসক তাঁর বাবাকে হুমকি দিচ্ছেন। এদিকে, সূত্রের খবর, যাঁর বিরুদ্ধে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই চিন্ময়ানন্দকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি পুলিস।