ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
তবে, এই প্রথম নয়। নয়ের দশক থেকে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত হওয়ার পর থেকেই মহরমের শোভাযাত্রা বের হওয়ার অনুমতি প্রশাসন দেয়নি। এবার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের জেরে অশান্তির কথা মাথায় রেখেই মহরমের মিছিল বের করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রশাসনের বক্তব্য, মহরমের মিছিলের সুযোগ নিয়ে আইন-শৃঙ্খলার বিঘ্ন করতে পারে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তাই কোনও ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত নয় তারা। নিরাপত্তার এত কড়াকড়ি নিয়ে স্থানীয় কাশ্মীরিদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। দোকান-বাজার না খোলায় প্রয়োজনীয় দ্রব্য সংগ্রহ করতে পারছেন না তাঁরা।
গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকেই অশান্তির আশঙ্কায় রাজ্যের সর্বত্র নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এক মাসের বেশি কেটে গেলেও উপত্যকা স্বাভাবিক হয়নি। স্বাভাবিক হয়নি জনজীবন। দোকান-বাজার বন্ধ, স্কুল-কলেজ খুললেও পড়ুয়াদের দেখা নেই। সরকারি পরিবহণ এখনও রাস্তায় নামেনি। শীর্ষ পর্যায়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের হয় গৃহবন্দি বা জেলে আটকে রাখা হয়েছে। তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতি ৩৭ দিন ধরে গৃহবন্দি।
এদিকে, কাশ্মীরের বারামুলা জেলার সোপোর এলাকা থেকে আট লস্কর-ই-তোইবার জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। এরা ওই এলাকায় পোস্টার দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের হুমকি দিচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। এক পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন, ধৃত আট লস্কর জঙ্গি দেওয়ালে পোস্টার দিয়ে ‘গণকার্ফু’ এবং প্রশাসনের সঙ্গে ‘অসহযোগিতা’ করতে স্থানীয় বাসিন্দাদের উস্কানোর চেষ্টা করছিল। গত সপ্তাহে এই সোপোরে জঙ্গিহানায় একটি শিশুকন্যাসহ পরিবারের চার সদস্য গুরুতর জখম হন। পুলিস জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠিত ফল ব্যবসায়ী হামিদুল্লা রাথেরের সন্ধানে তাঁর বাড়িতে যান জঙ্গিদের দল। তাঁকে না পেয়ে পরিবারের অন্যান্যদের উপর গুলি চালায়। ঘটনায় হামিদুল্লার আড়াই বছরের নাতনি আসমা জান গুরুতর জখম হয়।