পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরেও যাতে একজন ইএসআই গ্রাহক নিগমের আওতায় থাকা চিকিৎসা পরিষেবা পান, সেই লক্ষ্যে ২০০৬ সালের ১ এপ্রিল ‘পেনশনার্স মেডিক্যাল স্কিম’ (পিএমএস) নামে একটি কর্মসূচি (ইএসআইসি-পিএমএস ২০০৬) চালু করে কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগম। একজন অসরপ্রাপ্ত ইএসআই গ্রাহক এর আওতায় আসতে চাইলে তাঁকে অন্তত ছ’মাসের অগ্রিম প্রদেয় অর্থ (কন্ট্রিবিউশন) জমা দিতে হয়। যদিও পুরো বিষয়টিকে ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে। অর্থাৎ চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর এই সরকারি স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচির একজন গ্রাহক ‘পেনশনার্স মেডিক্যাল স্কিমে’র অধীনে নাও থাকতে পারেন। যাঁরা এর অধীনে থাকবেন না, তাঁদের মাসে একটি চিকিৎসা ভাতা দেওয়ার বন্দোবস্ত চালু রয়েছে ইএসআইসিতে। পাশাপাশি ইএসআইসি-পিএমএস ২০০৬ কর্মসূচির আওতায় থাকা পেনশনভোগী এবং তাঁর উপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যদের ইএসআই চিকিৎসায় খরচ হওয়া অর্থ পুনরায় তাঁকে ফেরত দেওয়ার (রি-ইমবার্স) ব্যাপারটি দেখভালের সম্পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট নোডাল অফিসারদের। এক্ষেত্রেই তাঁদের উপর বেজায় চটেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের এই পেনশনার্স মেডিক্যাল স্কিমের কন্ট্রিবিউশনের হার কত? এই ব্যাপারে ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি যে সার্কুলার জারি করেছিল ইএসআইসি, সেখানে এই প্রদেয় অর্থের হারকে মোট পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন প্রতি মাসে যাঁরা ১৬৫০ টাকা পর্যন্ত পেনশন পান, তাঁদের জন্য এই কন্ট্রিবিউশনের হার মাসিক মাথাপিছু ৫০ টাকা করে। মাসে ১৮০০ টাকা, ১৯০০ টাকা, ২০০০ টাকা, ২৪০০ টাকা এবং ২৮০০ টাকা পেনশন পান যাঁরা, তাঁদের জন্য এই হার মাসে ১২৫ টাকা করে। মাসে ৪২০০ টাকা পর্যন্ত পেনশন পান যাঁরা, তাঁদের দিতে হয় ২২৫ টাকা করে। ৪৬০০ টাকা, ৪৮০০ টাকা, ৫৪০০ টাকা এবং ৬৬০০ টাকা পেনশনভোগীদের মাসিক হার ৩২৫ টাকা করে। এবং মাসে ৭৬০০ টাকা ও তার সর্বোচ্চ টাকা পাচ্ছেন যাঁরা, এক্ষেত্রে তাঁদের দিতে হয় মাসে ৫০০ টাকা করে। এই পরিস্থিতিতে পেনশনভোগীদের চিকিৎসা করাতে গিয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, নোডাল অফিসারদের তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।