ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
সংবিধানের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর কাশ্মীরের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে দেশের অন্দরেই বিতর্কে জড়িয়েছে কেন্দ্রের শাসকদল। বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরোধিতা না করলেও যেভাবে এই সিদ্ধান্ত একতরফা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। কংগ্রেস সহ বামপন্থীরা পর্যন্ত এই প্রশ্নে মোদি প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে। বিরোধীদের মতে, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ এবং বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার করে কাশ্মীরে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। বিরোধীদের তোলা এইসব বিতর্ক উড়িয়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় বিদেশ রাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, বিরোধীদের একাংশ কিছু বিদেশি শক্তির মদতে কাশ্মীর নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এর মোকাবিলায় সঙ্ঘ পরিবার দেশজুড়ে পাল্টা প্রচারে নামছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি জয় পাণ্ডা বলেন, সেই লক্ষ্যেই বিজেপির রাষ্ট্রীয় একতা অভিযান শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সহ মোট পাঁচ রাজ্যে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের বিষয়ে জনমত তৈরির উদ্দেশ্যেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এইসব রাজ্যে বুদ্ধিজীবী থেকে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন সহ বিশিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। এই ঘরোয়া বৈঠকের পাশাপাশি পাঁচ রাজ্যে মোট ৩৫টি বড় সভা করার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি, জানিয়েছেন জয় পাণ্ডা। তাঁর দাবি, সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে ৩৭০ ধারা নিয়ে কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি জনমানসে ভুল ধারণা তৈরির চেষ্টা করছে। তাই আমজনতার কাছে গিয়ে বোঝাতে হবে। দেশের মধ্যে মাথাপিছু সর্বোচ্চ ব্যয় করা হয়েছে কাশ্মীরে। কিন্তু সেখানকার সাধারণ মানুষের কাছে তার ফল পৌঁছয় না। এই সত্যটাই তুলে ধরতে হবে বলে জানান বিজেপির সহ সভাপতি।