শ্রীনগর, ৯ সেপ্টেম্বর (পিটিআই): সোমবার কাশ্মীরের বেশিরভাগ স্থান থেকে তুলে নেওয়া হল নিষেধাজ্ঞা। তবে রাজধানী শ্রীনগরের স্পর্শকাতর এলাকায় এখনও বিধিনিষেধ জারি রেখেছে প্রশাসন। শহরের বাণিজ্য কেন্দ্র লালচকের সামনে থেকে এদিন নিরাপত্তার ব্যারিকেড তুলে নেয় প্রশাসন। পাশাপাশি লালচকে যাওয়ার সমস্ত রাস্তাই খুলে দেওয়া হয়। তবে শহরে মানুষের ভিড় ও গাড়ির দেখা মেলেনি। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। তারপর কেটে গিয়েছে ৩৬ দিন। এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেনি উপত্যকা। উপত্যকার ১০৫টি থানা এলাকার বেশিরভাগ থেকেই বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে টেলিফোন এক্সচেঞ্জও চালু করে দেওয়া হয়েছে। রবিবার অবশ্য শ্রীনগরের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে বিধিনিষেধ বলবৎ করে প্রশাসন। মহরমের দিন অশান্তি এড়াতে এই বিধিনিষেধ জারি হয়েছে বলে জানায় প্রশাসন। তবে আগের বছরগুলির তুলনায় এবার শ্রীনগরে মহরমের শোভাযাত্রায় কিছুটা হলেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। এদিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও ছন্দে ফিরতে পারেনি উপত্যকা। লালচকে গুটিকয়েক দোকান-পাট খুললেও ক্রেতাদের দেখা মেলেনি। পাশাপাশি শহরে বেসরকারি গাড়ির সংখ্যাও ছিল খুবই কম। কিছু মানুষ রাস্তার ধারে আনাজ নিয়ে বসেছিলেন। রাজ্য সরকারের তরফে স্কুল খোলা রাখলেও অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে সাহস পাচ্ছেন না। সরকারি অফিসেও কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল খুবই কম। যদিও জেলাশাসকের তরফে কর্মীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক ছিল বলে জানানো হয়েছে। ল্যান্ডফোন চালু হলেও মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে। পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কাশ্মীরে কোনও অশান্তি হয়নি। তবে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শ্রীনগর সহ উপত্যকার প্রতিটি জেলায় বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী টহল দিচ্ছে। কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর থেকে রাজ্যের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি গৃহবন্দি রয়েছেন। পরিবারের সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাৎ করার অনুমতি দেওয়া হলেও কবে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে, তা অবশ্য জানাতে পারেনি প্রশাসন।
এদিকে সিপিএম নেতা এম ওয়াই তারিগামিকে এদিন সকালে দিল্লির এইমসে ভর্তি করা হয়েছে। বিগত একমাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি গৃহবন্দি ছিলেন। তবে গুরুতর অসুস্থ থাকায় সুপ্রিম কোর্ট অবিলম্বে তারিগামিকে শ্রীনগর থেকে দ্রুত দিল্লির এইমসে ভর্তি করার নির্দেশ দেয়।