ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া তথ্যে ইসরোর ওই আধিকারিক আরও দাবি করেছেন, বিক্রম শুধুমাত্র অক্ষত থাকলেই হবে না। তার সব যন্ত্রাংশ যদি ঠিক থাকে, তবেই বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে। এখনও পর্যন্ত যতটুকু তথ্য হাতে এসেছে তাতে মনে করা হচ্ছে, বিক্রমের যন্ত্রাংশ কাজ করছে। কিন্তু চাঁদের মাটিতে কাত হয়ে পড়ে থাকায় সে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছে না। তাই তার সঙ্গে যোগাযোগও স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে, অখণ্ড অবস্থায় বিক্রম চাঁদের দক্ষিণাংশে অবতরণ করায় দেশের সব মহলেই খুশির হাওয়া। কারণ, বিজ্ঞানীদের মতে, অক্ষত অবস্থায় নামতে পারার মানেই হল, ইসরোই প্রথম ওই অংশে সফলভাবে ল্যান্ডার অবতরণ করাল। বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন না করা গেলেও সেটি যে সফলভাবে ল্যান্ডিং করতে পেরেছে, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। যদিও এবিষয়ে ইসরো সরকারিভাবে এখনও কিছু জানাতে চায়নি। তাদের পক্ষ থেকে এদিনও জানানো হয়েছে, বেঙ্গালুরুর ইসরো টেলিমেটরি ট্র্যাকিং অ্যান্ড কম্যান্ড (আইএসটিআরএসি) কেন্দ্র থেকে নিয়মিত বিক্রম এবং রোভারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে তার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ফের চালু করা সম্ভব হয়। তবে এই যোগাযোগ স্থাপন করাটা অত্যন্ত জটিল ব্যবস্থা। ইসরোর বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, যদি বিক্রম থেকে কোনও সাড়া মেলে, তবেই সেটিকে ফের সক্রিয় করে তোলার চেষ্টা সম্ভব। নতুবা কোনওভাবেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে না। তাই শুধুমাত্র বেঙ্গালুরুর স্যাটেলাইট কন্ট্রোল সেন্টার থেকেই নয়, চাঁদের কক্ষপথে ঘুরতে থাকা অরবিটারের মাধ্যমেও বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ইসরো সূত্রের আরও খবর, রবিবার বিক্রমের যে ছবি অরবিটার পাঠিয়েছে, সেটিকে আরও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তারপরই ভারতীয় বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছে, ছবিটি বিক্রমেরই। কারণ ওই জায়গার পুরনো ছবি বিশ্লেষণ করে সেখানে কোনও বস্তু পাওয়া যায়নি। এটাই আপাতত আশার আলো দেখাচ্ছে বিজ্ঞানীকে।