ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
এদিন গুয়াহাটিতে নর্থ-ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সের (এনইডিএ) বৈঠকে যোগ দেন অমিত শাহ। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে এনডিএ-রই প্রতিরূপ হল এই এনইডিএ। সেখানে বক্তব্য রাখার সময় অমিত শাহ ফের বুঝিয়ে দিলেন, বেআইনি বসবাসকারী ইস্যুতে কেন্দ্র কড়া অবস্থান থেকে সরছে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাফ বক্তব্য, শুধু অসম নয়, আমাদের উদ্দেশ্য গোটা দেশ থেকেই বেআইনি বসবাসকারীদের হটানো। পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে বিচ্ছিন্নতাবাদের দীর্ঘ সমস্যার জন্য কংগ্রেসের দিকে আঙুল তোলেন শাহ। তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেস উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিকে গুরুত্বই দেয়নি। তার ফলেই এই অবস্থা। বিচ্ছিন্নতাবাদের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে কংগ্রেসের জন্য। কারণ তারা বিভাজনের মাধ্যমে শাসনের নীতিতে বিশ্বাসী। এনআরসি ইস্যুতে এদিন কেন্দ্রের পাশে দাঁড়ান মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। অসমের মতো মণিপুরেও এনআরসি চালুর পক্ষে সওয়াল করেন তিনি।
এনআরসি নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এদিন এনইডিএ-র বৈঠকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের ইস্যুটিও জোরালোভাবে ওঠে। নাগরিকত্ব বিলকে কেন্দ্র করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের মধ্যে যে আতঙ্ক রয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে তা প্রকাশ্যেই তুলে ধরেন একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেন, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভীতির পরিবেশ রয়েছে। অমিত শাহের কাছে তাঁর আর্জি, বিলটি ফের আনার আগে এই অঞ্চলের রাজ্যগুলির মতামত নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এবিষয়ে এগনো উচিত। সেজন্য কেন্দ্র যেন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে। মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার আবার আবেদন, নাগরিকত্ব বিলের আওতা থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বাইরে রাখা হোক। তাঁর মতে, নাগরিকত্ব বিল এখানে খুবই সংবেদনশীল একটি বিষয়। অমিত শাহের সামনেই আরও একধাপ এগিয়ে জোরামথাঙ্গা বলেন, যে রাজনৈতিক দলগুলি এই বিলকে সমর্থন করছে, তারা ‘আত্মহত্যা’র মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এদিনের বৈঠকে নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও। তিনিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই এই বিলের তীব্র প্রতিবাদ জানান। রিও বলেন, আমরা মনে করি এর ফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনগোষ্ঠীর ভারসাম্য বদলে যাবে। বাস্তব পরিস্থিতি বোঝা দরকার আমাদের। এর আগে উত্তর-পূর্বের সব রাজ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এখানে এই ‘অতি বিতর্কিত’ বিল কার্যকর করতে দেওয়া হবে না। আশা করি, কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের কথা শুনবে।
এনইডিএ-র বৈঠকে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি অমিত শাহ এদিন কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম কামাখ্যা মন্দিরে এলেন অমিত শাহ। গর্ভগৃহে গিয়ে পুজোও দেন তিনি।