ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
রবিবার রোহতকে আয়োজিত ‘বিজয় সংকল্প’ র্যা লিতে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজের সাফল্যের কথা বুক বাজিয়ে তুলে ধরেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে ১৩০ কোটি দেশবাসীর অনুপ্রেরণা কাজ করেছে বলে জানান মোদি। গত ১০০ দিনে দেশের উন্নয়ন, বিশ্বাস এবং বড় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপরেই সেই সমস্ত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে নাম না করে বিরোধীদের এক হাত নেন। লোকসভা ভোটের ফলের ধাক্কায় এখনও তারা ন্যুব্জ জানিয়ে মোদি বলেন, ‘আমি এমন একটা সময়ে হরিয়ানায় এসেছি, যখন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ১০০ দিন পূর্ণ করছে। এই ১০০ দিনের কাজ কিছু মানুষ বুঝতে পারেননি। কিছু আবার নির্বাচনী ভরাডুবির জেরে ন্যুব্জ হয়ে রয়েছেন।’ জম্মু ও কাশ্মীরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘দশকের পর দশক পুরনো হোক বা নতুন, প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে ভারত।’
এরপরেই সন্ত্রাসবাদ রুখতে ইউএপিএ, মুসলিম মহিলাদের অধিকার রক্ষা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের সংস্কারমূলক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। পরোক্ষে ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রসঙ্গ টেনে মোদি বলেন, ‘মাথা উঁচু করে কীভাবে চ্যালেঞ্জ নিতে হয়, তা আমরা জানি। তা সে জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখই হোক বা ভয়াবহ জলসঙ্কট, ১৩০ কোটি দেশবাসী নতুন সমাধানের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছেন। আমরা নতুনভাবে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখবাসীর স্বপ্ন ও প্রত্যাশা পূরণ করছি। আপনাদের অনুপ্রেরণাতেই ভোটের সময় এই সমস্ত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল এবং তা পূরণ করা হয়েছে।’
এছাড়া, পাইপ লাইনে বাড়ি বাড়ি জল, উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, ব্যবসায়ী ও ছোট দোকানিদের পেনশন এবং কৃষক উন্নয়নে তাঁদের আয় দ্বিগুণ করার উপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। খুব কম সময়ের মধ্যে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২১ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। লোকসভা ভোটে রাজ্যের ১০টি আসনেই বিজেপিকে জয়যুক্ত করার জন্য হরিয়ানাবাসীকে ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি মোদি। নিজের চিরাচরিত বাকপটুতার প্রমাণ দিয়ে ইসরোর চন্দ্রযান-২-এর শেষ ১০০ সেকেন্ডের প্রসঙ্গ টানেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘স্পোর্টসম্যান স্পিরিটের মতোই এখন রয়েছে ইসরো স্পিরিট। ল্যান্ডিং সফল হবে ভেবে রাত ১টা ৫০ মিনিটে দেশবাসী টিভি পর্দার দিকে তাকিয়েছিল। ওই ১০০ সেকেন্ডই গোটা দেশবাসীকে জাগিয়ে দিয়েছে। ওই ১০০ সেকেন্ডই জানান দিয়েছে, দেশবাসী আর মধ্যমেধাকে গ্রহণ করছে না। দেশের জনতা এখন পরিবর্তন চায়। আর ওই ১০০ সেকেন্ডই সাফল্যের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছে।’
এখানেই শেষ নয়, কেন্দ্রের পাশাপাশি খট্টর সরকারের সাফল্যের কথাও এদিন মেলে ধরেন মোদি। তাঁর কথায়, ‘গত পাঁচ বছরে কেন্দ্র ও রাজ্যের ডাবল ইঞ্জিনের সুবিধা পেয়েছে হরিয়ানা। ২৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যের প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। তার মধ্যে ২০০০ কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এটা পরিষ্কার যে রাজ্যবাসী কাকে আশীর্বাদ দিতে চলেছে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে আপনারা যেভাবে সমর্থন দিয়েছেন, একইভাবে আসন্ন বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলালকে সমর্থন দেবেন।’ অন্যদিকে, শনিবার খুন হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সভার নিরাপত্তার কাজে নিযুক্ত প্রদীপ নামে এক হেড কনস্টেবল। এ প্রসঙ্গে রোহতকের পুলিস সুপার রাহুল শর্মা বলেছেন, কারও সঙ্গে লড়াইয়ের জেরেই খুন হয়েছেন উনি। তদন্ত শুরু হয়েছে।