গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্র। এরপর উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির বিশেষ মর্যাদাও তুলে নেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ, একইরকম সুবিধা পায় ওই আটটি রাজ্যও। এদিন উত্তর-পূর্ব কাউন্সিলের বৈঠকে রাজ্যগুলিকে সে ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন অমিত শাহ। তাঁর মতে, বিষয়টি নিয়ে উত্তর-পূর্বের মানুষদের ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে। সরকারের তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই। বৈঠকের উদ্বোধনী বক্তৃতায় এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘আমি সংসদেও বিষয়টি পরিষ্কার করে জানিয়েছি যে এমনটা করা হবে না এবং আমি আজ উত্তর-পূর্বের আটজন মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আবার বলছি যে দু’টি ধারা আলাদা এবং কেন্দ্র ৩৭১ ধারাকে কোনওভাবেই স্পর্শ করবে না।’ অমিত শাহের মতে, ৩৭০ ধারাকে একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ৩৭১ ধারা উত্তর-পূর্বের জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত। এবং এই দু’টির মধ্যে আকাশপাতাল ফারাক। তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় এই দু’টি ধারার মধ্যে পার্থক্যটা সঠিকভাবে বোঝা জরুরি। আরও পরিষ্কার করে বলছি যে প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি সরকার ৩৭১ এবং ৩৭১ (এ) ধারাকে সম্মান করে।’ মূলত, আদিবাসী সংস্কৃতি রক্ষার জন্যই এই দু’টি বিশেষ ধারা উত্তর-পূর্বের অধিকাংশ রাজ্যেই বলবৎ রয়েছে। উত্তর-পূর্বকে যারা অশান্ত রাখতে চায়, তারাই কেন্দ্রের নাম করে এই ভুল ধারণা প্রচার করছে। এর পিছনে বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন অমিত শাহ। এদিনের বৈঠকে উত্তর-পূর্বের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগের কথা তুলে ধরেছেন তিনি।