ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
এদিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে নিয়ে পুরীর মন্দির পরিদর্শন করেন রঞ্জিত কুমার। তারপরে তাঁরা দেখা করেন গোবর্ধন পীঠ শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী এবং পুরীর গজপতি মহারাজ দিব্যসিং দেবের সঙ্গে। শেষে শ্রীজগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এসজেটিএ) মুখ্য প্রশাসক কৃষ্ণ কুমার সহ রাজ্য প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ আধিকারিককে নিয়ে একটি বৈঠকে অংশ নেন তাঁরা। বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রঞ্জিত কুমার বলেন, ‘আমরা মন্দিরের পরিচালন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের বক্তব্য শুনেছি। সেই সঙ্গে মন্দিরের চারপাশে যে উচ্ছেদ অভিযান চলছে তারও পর্যালোচনা আমরা করেছি।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি, কাউকেই জোর করে উচ্ছেদ করা হয়নি। এই কাজ মানুষের কল্যাণসাধনের জন্যই করা হচ্ছে।’
গত মাসে বিচারবিভাগীয় প্যানেলের প্রস্তাব মেনে দ্বাদশ শতাব্দিতে তৈরি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ৭৫ মিটারের মধ্যে থাকা সমস্ত নির্মাণ ভেঙে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করে রাজ্য সরকার। আদালত নিযুক্ত প্রতিনিধি রঞ্জিত কুমারের কথায়, ‘রাজ্য সরকারের কাজকর্মের উপর নজর রাখতে আমাদের নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। আমরা দেখেছি, পুরীকে আন্তর্জাতিক মানের হেরিটেজ সিটি হিসেবে গড়ে তোলার যে সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার নিয়েছে, তাতে মানুষের তেমন কোনও ভোগান্তি হচ্ছে না। এই কাজ পুণ্যার্থী এবং দর্শনার্থীদের ব্যাপক সাহায্য করবে।’ তবে, কিছু স্থানীয় মানুষ ও পাণ্ডাদের তরফে এই অভিযানের তীব্র বিরোধিতা করা হচ্ছে। সে প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে রঞ্জিত কুমার সাফ জানান, সব পক্ষের সম্মতি নিয়েই এই প্রকল্পে হাত দিয়েছে সরকার। তাই এখন আর পিছিয়ে আসার কোনও জায়গা নেই।