ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
শনিবার একদিনের জন্য মুম্বই সফরে যান মোদি। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি এবং মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সেখান থেকে ভিলে পার্লের লোকমান্য সেবা সঙ্ঘে (এলএসএস) চলে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানকার গণেশ পুজোয় প্রার্থনা করেন তিনি। এরপর ‘লোকমান্য’ বাল গঙ্গাধর তিলকের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন মোদি। তিলকের বিখ্যাত উক্তির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘লোকমান্য তিলক বলতেন, ‘স্বরাজ্য’ আমার জন্মগত অধিকার। আর যেহেতু আমরা স্বাধীনতার ৭৫ বছর পালনের দিকে এগচ্ছি, তাই আমাদের বলা উচিত ‘সুরাজ্য’ আমাদের কর্তব্য।’’ পাশাপাশি, জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মারাঠি সাহিত্যিক পি এল দেশপাণ্ডের মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করতে গণেশ পুজোর সূচনা করেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী তিলক। তাঁর সেই দর্শনে অনুপ্রাণিত হয়ে গণেশ পুজো শুরু করে এলএসএস।
এরপরেই বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্স (বিকেসি)-এর জিও ওয়ার্ল্ড সেন্টারে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মুম্বইয়ে তিনটি মেট্রো লাইনের উদ্বোধন এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের আওতায় তৈরি মেট্রো কোচের আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। মোদি বলেন, ‘আজ থেকে এক শতকেরও বেশি আগে গণেশ উৎসবের সূচনা করেছিলেন লোকমান্য তিলক। বর্তমানে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বেও সাড়ম্বরে পালিত হয় এই গণেশ উৎসব।’ এছাড়া আওরঙ্গাবাদে ‘মহারাষ্ট্র র্যছজ্য গ্রামীণ জীবনযাত্রা মিশন’ আয়োজিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, অরিক বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিংয়ের উদ্বোধন করেন তিনি। এবং ডিএমআইসি অরিক সিটি প্রকল্পকে দেশের জন্য উৎসর্গ করেন।
অন্যদিকে, গণেশ মূর্তি বিসর্জনের সময় সমুদ্রে যেন প্লাস্টিক সহ অন্যান্য বর্জ্য না যায়, সেজন্যও পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমি আপনাদের ‘এক দেশ, এক শপথ’-এর উপদেশ দিতে চাই। পরিবেশ রক্ষার জন্য আমাদের ‘সিঙ্গল ইউজ’ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। আমাদের জলদূষণ বন্ধ করতে হবে। গণেশ মুর্তি বিসর্জনের সমুদ্রে প্লাস্টিক ও অন্যান্য বর্জ্য যাওয়া বন্ধ করতে হবে।’’