সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
সরকারি সূত্রে খবর, সোমবার থেকে উপত্যকার সমস্ত প্রাথমিক স্কুল খোলার জন্য গত সপ্তাহেই নির্দেশ জারি করেছিল স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু তারপরও স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের দেখা মেলেনি। বলা হয়েছিল, বুধবার থেকে উচ্চ বিদ্যালয়গুলি চালু করা হবে। বুধবারও অবশ্য যাবতীয় স্কুলগুলি ফাঁকাই ছিল। মঙ্গলবার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, ২২টি জেলার মধ্যে ১২টি জেলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। শ্রীনগরের সিটি সেন্টার লাল চকের ক্লক টাওয়ার সংলগ্ন এলাকাতেও বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়। এদিন সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের মুখ্যসচিব রোহিত কনসাল জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের ১৯৭টি থানা এলাকার মধ্যে ১৩৬টি থেকেই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়ক ও শ্রীনগর বিমানবন্দরের পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ৯৩ হাজার ল্যান্ড ফোনের মধ্যে ৭৩ হাজার ফোন ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। তবে মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা এখনও বন্ধ রয়েছে। সরকারি অফিসগুলিতে কর্মীদের উপস্থিতির হারও বেড়েছে অনেকটাই।
উপত্যকাজুড়ে ল্যান্ডফোন, মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছিলেন কাশ্মীরের বহু হজযাত্রী। ভূস্বর্গের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে পরিজনরা কীভাবে দিন কাটাচ্ছেন, তা জানতে না পারায় দুশ্চিন্তায় ছিলেন অনেকে। শ্রীনগর বিমানবন্দরে পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ায় হজ থেকে ফিরে অবশেষে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফের মিলিত হন আব্দুল মাজিদ। পরিবারের সকলে নিরাপদে থাকায় দৃশ্যতই খুশি ছিলেন মাজিদ। জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় জম্মু ও কাশ্মীর থেকে যে ৩০৪ জন যাত্রী হজ করতে গিয়েছিলেন, তাঁদেরই একজন আব্দুল মাজিদ। তিনি জানিয়েছেন, কাশ্মীরের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে পরিবারের সদস্যদের যোগাযোগ করতে পারছিলেন না কোনও তীর্থযাত্রীই। ফলে প্রত্যেকেই আতঙ্কে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা নিরাপদে থাকায় হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন সকলে।