সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঙ্গে যাতে আগামী জোট ফরমুলা চূড়ান্ত হয়ে যায় সেই ব্যবস্থা করতে ইতিমধ্যেই অমিত শাহ কথা বলেছেন উদ্ধব থ্যাকারের সঙ্গে। উদ্ধব থ্যাকারে রাজিও হয়ে গিয়েছেন। চার রাজ্যের মধ্যে দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার চলছে। এবং এবার কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকে সরিয়ে যে বিজেপি ক্ষমতা দখল করছেই সেটা আজ অমিত শাহ স্পষ্ট করে দেন। এমনকী অমিত শাহ চাইছেন যাতে ২০১৫ সালের পাল্টা প্রতিশোধ নেওয়া যায় দিল্লিতে। অর্থাৎ ২০১৫ সালে দিল্লিতে ৭০ আসনের মধ্যে একাই আমআদমি পার্টি পেয়েছিল ৬৭। বিজেপি মাত্র তিনটি। কংগ্রেস শূন্য। এবারও কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির মধ্যে বিজেপি বিরোধী ভোটের বিভাজনের কারণে বিজেপি একাই ৬০টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা পেরোবে বলে মাপকাঠি নির্ধারণ করে দেন অমিতশাহ।
বলা বাহুল্য, চার রাজ্যেই এবার প্রধান প্রচারক হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। কাশ্মীরকে গোটা ভারতের সঙ্গে একাসনে বসানোর কারিগর যে মোদিই, এই প্রচারে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। এবং চার রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার প্রচার করবেন বলে জানা যাচ্ছে। আগামী বছর দিল্লি ও বিহারে ভোট। আর মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা,ঝাড়খণ্ডে যাতে অক্টোবর-নভেম্বর মাসেই ভোট সম্পন্ন করা যায় সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। বস্তুত দিল্লি শুধু নয়, বিহারে এবার এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়াই প্রধান লক্ষ্য বলে বিজেপি’র বিহার ইউনিটকে জানিয়েছেন অমিত শাহ। আর সেক্ষেত্রে নীতীশকুমার আগামী বছরের ভোটের পর হয়তো ছোট শরিকে পরিণত হবেন।
একদিকে বিজেপি যেখানে এভাবে আসন্ন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে নিয়ে সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সেখানে কংগ্রেস অনেক পিছিয়ে। মহারাষ্ট্রে এনসিপি, ঝাড়খণ্ডে ঝড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে কংগ্রেসের আদৌ জোট হবে কিনা সেটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন। আজ অমিত শাহ বৈঠকে বলেছেন, ওই রাজ্যগুলিতে বিজেপিকে এত বেশি আসন পেতে হবে যাতে আগামীদিনে রাজ্যসভায় ওইসব রাজ্য থেকে একটিও আসন বিরোধী কোনও দল না পায়।