সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, স্কুলে পড়ুয়ারা না এলেও সরকারি দপ্তরে হাজিরার সংখ্যা বেড়েছে। ৯০ শতাংশ উপস্থিতি ছিল সচিবালয়ে। শ্রীনগরের সিভিল লাইন্স এলাকার কিছু অংশে যানবাহন চলাচল বাড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে, শ্রীনগরের শহরতলি এবং উপত্যকার বিভিন্ন অংশে এখনও রাস্তাঘাটে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে সর্বত্রই। এদিন ডালগেট, বুলেভার্ড, সোনওয়ার, এম এ রোড, রাজবাগ ও তৎসংলগ্ন এলাকার রাস্তায় গাড়ি চলতে দেখা গিয়েছে। সকালের দিকে কিছু ট্যাক্সিও চোখে পড়েছে। তবে গণপরিবহণ বা বাজার কোনওটাই খোলেনি। এই টানা ১৬ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে সেগুলি।
এদিন দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ দিল্লি থেকে বিমানে জম্মু বিমানবন্দরে আসেন বর্তমানে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ। তাঁকে বিমানবন্দর থেকে বেরতে দেওয়া হয়নি। বিকেল ৪টে ১০ মিনিটে দিল্লিগামী বিমানে গুলাম নবি আজাদকে জোর করে তুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্য কংগ্রেসের মুখপাত্র রবিন্দর শর্মার। এর আগে গত ৮ আগস্টও শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে এই কংগ্রেস নেতাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
গত ৪ আগস্ট থেকে উপত্যকায় নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। বন্ধ ছিল ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা। প্রায় ১৩ দিন বাদে শনিবার শ্রীনগরের কিছু জায়গা, বিশেষত রাজবাগ, জওহরনগর এবং সনৎনগরে ল্যান্ডলাইন পরিষেবা পুনরায় চালু করা হয়েছে। খবর ছড়াতেই কাতারে কাতারে মানুষ ওই এলাকায় জড়ো হন। মোবাইল ফোনের জমানায় ল্যান্ডলাইনের সংখ্যা যথেষ্ট কম। রাজবাগে গুলাম মহম্মদ দারের বাড়ির ল্যান্ডফোন ব্যবহারের জন্য লম্বা লাইন পড়তে দেখা গিয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিএসএনএল দপ্তরে নিজেদের ছেড়ে দেওয়া লাইন চালুর জন্য আবেদন করেছেন অনেকে। ইরফান হাসানের মতো অনেকে নিজের বকেয়া বিল পর্যন্ত মিটিয়ে দিচ্ছেন ফোন চালুর আশায়। প্রাণ ফিরে পেয়েছে বহু এসটিডি বুথও।
অন্যদিকে, কাশ্মীরের বিখ্যাত আপেল ও নাশপাতি চাষের এটাই মরশুম। দিল্লির ফলবাজারে ভালো দামে বিক্রি হয় ফলগুলি। প্রায় দু’বছর পর দারুণ ফলন হয়েছে বারামুলার মহম্মদ রমজানের বাগানে। কিন্তু গত দু’সপ্তাহ ধরে বাগানের নাশপাতি পাঠানোর জন্য কোনও ট্রাক পাচ্ছেন না তিনি। একইভাবে, ভরা মরশুমে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন উত্তর কাশ্মীরের পত্তন, তাংমার্গ, নাইদখাই, বান্দিপোরা এবং দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান, পুলওয়ামা, ত্রাল ও অনন্তনাগের ফলচাষিরাও। অপেক্ষাকৃত কম দামে সোপোরের বাজারে নিজেদের বাগানের ফল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।