সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
গত ২৪ ঘণ্টায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সাক্ষী থেকেছে গোটা হিমাচল। রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বিলাসপুর জেলার নয়না দেবীতে। সেখানে রবিবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩৬০ মিলিমিটার। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, রাজ্যের উত্তরাংশে আবহাওয়ার উন্নতি হয়েছে। দক্ষিণে সিমলা, সোলান, সিরমৌর, মাণ্ডি, কিন্নর, বিলাসপুর এবং কুলুতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলবে। এদিন বৃষ্টিজনিত একাধিক দুর্ঘটনায় শুধু সিমলা জেলায় মৃত্যু হয়েছে আটজনের। আরটিও অফিসের কাছে ধস নামায় মারা গিয়েছেন তিনজন। ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন। জেলার নারকান্দ এলাকায় বাড়ির উপর গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে নেপালের দু’জন নাগরিকের। আহত আরও তিনজন। ভারী বৃষ্টির জেরে লোয়ার সেমেটারি এলাকায় বাড়ির দেওয়াল ধসে প্রাণ হারিয়েছেন একজন শ্রমিক। নাম শাহ আলম। তিনি বিহারের কৃষ্ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। ঘটনায় আঘাত পেয়েছেন ছ’জন। এছাড়া, সিমলার রোহরু মহকুমায় হাটকোটি কেঞ্চির কাছে জাতীয় সড়কে নামা ধসে মৃত্যু হয়েছে এক ট্রাকচালকের।
এদিন দুপুরে চাম্বা জেলায় মেহলা মহকুমার লোনায় বাড়ি ধসে প্রাণ হারিয়েছেন ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ এবং সাত বছরের এক নাবালক। কুলুতে সুজওয়ার নালা ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে চুনি লাল নামে এক ব্যক্তিকে। মণিকরণ এবং বারশেনির মাঝে বালার্গায় ধসের জেরে মৃত্যু হয়েছে এক পর্যটকের। এছাড়া, সোলান জেলার মনকপুরায় বাড়ি ধসে মারা গিয়েছেন দু’জন। গতকাল থেকেই শতদ্রু নদীতে জলস্তর বাড়ায় বন্ধ রাখা হয়েছে নাথপা ঝাকরি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শীঘ্রই নাথপা ঝাকরি জলাধারের সব গেট খুলে দেড় হাজার কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হবে। রাজ্যবাসীদের নদী, উপনদী এবং জলের ধারা থেকে দূরে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লাগাতার বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুলুর আখড়া বাজারের ভ্যালি ব্রিজের একটি অংশ। সিমলা জেলার বহু রাস্তা ধস এবং গাছ পড়ে বন্ধ। মাইগালে ধসের কারণে বন্ধ মাণ্ডি-যোগিন্দর নাগা জাতীয় সড়ক এবং মাণ্ডি-রেওয়ালসর রোড। বৃষ্টির জেরে সিমলা-কালকা ট্রেন রুটে চার-পাঁচ জায়গায় ধস নেমেছে। যে কারণে এদিন সকালে রুটটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন রেল আধিকারিকরা। ভোর তিনটেয় কালকা থেকে সিমলাগামী ট্রেনটি ছাড়লেও পাঁচটা নাগাদ মাঝপথে ধরমপুর স্টেশনে সেটি বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়। সোমবার রেললাইন পরিষ্কারের পর ফের ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে।
অন্যদিকে, রবিবার থেকে ফের বৃষ্টি শুরু হয়েছে তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। মাঝে বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ভারী বৃষ্টি হতে পারে তামিলনাড়ুর ভেলোর, তিরুভালুর, কাঞ্চিপুরম, করাইকল এবং পুদুচেরিতে। বৃষ্টি হতে পারে কেরল, দক্ষিণ কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চল এবং তেলেঙ্গানার কিছু অংশেও।
পাঞ্জাবে ভারী বৃষ্টির জেরে বাড়ির ছাদ ধসে মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের তিনজনের। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে খান্না শহরের কাছে আওল গ্রামে। মৃতদের নাম সুরজিৎ সিং (৩৫), তাঁর স্ত্রী বলজিন্দর সিং (৩২) এবং তাঁদের ছেলে গুরপ্রীত সিং (৯)। যদিও, দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে তাঁদের ১০ বছরের মেয়ে।
বন্যার জেরে বিপর্যস্ত কর্ণাটকও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২৫ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেছে শ্রীক্ষেত্র ধর্মস্থল। ধর্মস্থল ধর্মাধিকারী বীরেন্দ্র হেগাড়ে গতকাল জানিয়েছে, এছাড়াও ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে দক্ষিণ কন্নড় জেলার সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বেলথানাড়ি তালুকের জন্য। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার হাতে ২৫ কোটি টাকার চেক তুলে দেবেন তিনি।