হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
জানা গিয়েছে, গতকাল কৃষ্ণা জেলার এক নদীতে ডুবে যায় ওই কিশোরী। পরে এনডিআরএফের এক সদস্য তার দেহ উদ্ধার করে। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, গুন্টুর জেলায় জলে ডুবে মৃত্যু হয় এক কৃষকের। এদিন সকালে প্রকাশম বাঁধ থেকে ৮ লক্ষ ২১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। পরে, সকাল ১০টা নাগাদ জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে ৭ লক্ষ ৯৯ হাজার কিউসেক করা হয়। বেলা গড়াতেই আরও কিছুটা কমিয়ে জল ছাড়ার পরিমাণ ৭ লক্ষ ৫৭ হাজার কিউসেক করা হয়। ইতিমধ্যে গুন্টুর ও কৃষ্ণা জেলার ৩২টি মণ্ডলের ৮৭টি গ্রামের ১৭ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষকে ইতিমধ্যেই ৫৬টি ত্রাণশিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার ও পানীয় জলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন আকাশপথে কৃষ্ণা জেলার অবস্থা খতিয়ে দেখেন রাজ্যপাল বিশ্বভূষণ হরিচন্দন। শনিবার বাঁধ থেকে ছাড়া জলের পরিমাণ কমলেও আগামী কয়েকদিনও স্থানীয়দের অন্যত্র সরানো হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। হিমাচল প্রদেশে জলে ডুবে মৃত্যু হয় ১৭ বছর বয়সি এক কিশোরেরও। পাশাপাশি, ভূমি ধসের জেরে হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন জায়গার একাধিক রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।
প্রবল বৃষ্টির জেরে এদিন পাঞ্জাবের লুধিয়ানা, অমৃতসর, মোহালি, চণ্ডীগড় সহ একাধিক জায়গায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। নদী তীরবর্তী নিচু এলাকার মানুষজনকে আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য স্থানীয় প্রশাসনের তরফে সতর্কবার্তা জারি করা হয়। প্রবল বৃষ্টিতে গতকাল রাজস্থানে অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় বহু মানুষকে নিরাপদ আস্তানায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার যোধপুর, আজমির, বিকানির, বনস্থলি এবং সিকার অঞ্চলেও ভারী বৃষ্টিপাত হয়।
এদিকে, জম্মুর কাঠুয়া জেলায় ভারী বৃষ্টিতে হড়পা বানের জেরে আটকে পড়েন অন্তত ১৪ জন। তাঁদের প্রত্যেককে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা।