বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গতকাল রাতেই উরিতে পাকিস্তানের মদতে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে সেনাবাহিনী। তার উপর কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ ভেস্তে দিতে পাকিস্তান যে মরিয়া, তা ইমরানের এদিনের হুঁশিয়ারিতেই স্পষ্ট। তাই কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ ভারতের সেনাকর্তারা। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতেই লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল ৫টি সুখোই-৩০ ও ৪টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান। সেগুলি সীমান্তে বায়ুসেনার ঘাঁটিগুলিতে পৌঁছে গিয়েছে। শ্রীনগর এয়ারবেসে আরও ৪টি যুদ্ধবিমান তৈরি রাখা হয়েছে। ইমরানের হুঁশিয়ারি সামনে আসতেই বুধবার আকাশে চক্কর কেটেছে ভারতীয় বায়ুসেনার জে-৩০ সুপার হারকিউলিস বিমান। তৈরি রাখা হচ্ছে দেশের অন্যান্য বায়ুসেনা ঘাঁটিকেও। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে অবস্থিত বায়ুসেনার ঘাঁটিতে মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানের স্কোয়াড্রনকে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। নর্দার্ন কমান্ডের অন্তর্গত বায়ুসেনার সব ঘাঁটিকে ভূমি থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। এজন্য নির্দেশ জারি হয়েছে দিল্লিতে বায়ুসেনার সদর দপ্তর থেকে।
শুধু ইমরান নন, কাশ্মীর ইস্যুতে অতি সক্রিয়তা দেখাতে শুরু করেছে তাঁর বিদেশ মন্ত্রকও। ভারতের পদক্ষেপের প্রতিবাদে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলিকে আলোচনার দাবিতে চিঠি দিয়েছে তারা। নিহত হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানিকে ওই চিঠিতে ফের স্বাধীনতা সংগ্রামী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির হুমকি, নিরাপত্তার প্রয়োজনে সর্বশক্তি ব্যবহার করতে পারে পাকিস্তান। মুজফ্ফরাবাদে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পালন করতে এসে ইমরান এই বাড়তি সক্রিয়তার অজুহাত দিয়েছেন, অধিকৃত কাশ্মীরেও ব্যবস্থা নিতে চাইছে ভারত। তার নাকি পূর্ণ তথ্য আছে পাকিস্তান সেনার কাছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, উপত্যকার পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হতে দেখেই বিভিন্ন অজুহাতে যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছেন ইমরান। কারণ কাশ্মীর হাতের বাইরে চলে গেলে দেশের মাটিতেই সবচেয়ে বেশি মুখ পুড়বে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর।