বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন শীর্ষ আদালতে বিদ্যানাথন জানান, ১৬০৮ থেকে ১৬১১ সালের মধ্যে ইংরেজ ব্যবসায়ী উইলিয়াম ফিঞ্চ ভারতে এসেছিলেন। ফিঞ্চ তাঁর বই ‘আর্লি ট্রাভেলস টু ইন্ডিয়া’-য় লিখেছেন, অযোধ্যায় একটি দুর্গ রয়েছে। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, এখানেই ভগবান রাম জন্মগ্রহণ করেছিলেন। একইসঙ্গে, ব্রিটিশ সমীক্ষক মন্টোগোমেরি মার্টিন, মিশনারি জোসেফ টাইফেন্থালারের ভ্রমণ বৃত্তান্তেরও উল্লেখ করেন বিদ্যানাথন।
এদিন, শুনানির সময় আদালত তাঁকে প্রশ্ন করে, ‘বাবরি মসজিদের কথা কোথায় প্রথম পাওয়া যায়?’ এর জবাবে ‘রামলালা বিরাজমান’-এর কৌঁসুলি বলেন, ১৯ শতকে। এর আগে বাবরি মসজিদের অস্তিত্ব প্রমাণের কোনও তথ্য পাওয়া যায় না। এরপরই আদালত ফের প্রশ্ন করে, ‘বাবরনামাতে কি এই নিয়ে কিছুই লেখা নেই?’ এতে বিদ্যানাথন নেতিবাচক জবাব দিলে বেঞ্চের পাল্টা প্রশ্ন, ‘তাহলে কী তথ্য আছে, যা প্রমাণ করে বাবর রাম মন্দির ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন?’ উত্তরে বর্ষীয়ান আইনজীবী জানান, বাবরের নির্দেশে তাঁর সেনাপ্রধান এই মন্দির ভাঙার কাজ করেছিলেন।
যদিও, এই নিয়ে বাবরনামায় কিছু লেখা নেই বলে বিদ্যানাথন যে বক্তব্য পেশ করেন, তার প্রতিবাদ করেন বাবরি মসজিদের পক্ষের আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান। তিনি পাল্টা জানান, বাবারনামায় লেখা আছে, বাবর নদী পার করে অযোধ্যায় পৌঁছেছিলেন। কিন্তু তার পরের কয়েকটি পাতার কোনও খোঁজ নেই। বুধবার, সওয়াল-জবাবের সময় বিদ্যানাথন আরও বলেন, মন্দির ভাঙা নিয়ে দুটি পৃথক তথ্য পাওয়া যায়। একটি হল, বাবর মন্দির ধ্বংস করেছিলেন। অন্যটি হল, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব এটি ধ্বংস করেছিলেন। কিন্তু মসজিদটি বাবরই তৈরি করেছিলেন, তার প্রমাণ রয়েছে। তবে, ওখানে যে আসলে রামমন্দির ছিল, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।