নয়াদিল্লি, ১৪ আগস্ট (পিটিআই): এবছর বীরচক্র সম্মান পেতে চলেছেন বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়ে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে বায়ুসেনা। এই নিয়ে উত্তেজনার মাঝেই ভারতে ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের অত্যাধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। হাতে সময় ছিল না। তাই প্রযুক্তিগতভাবে পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও মিগ-২১ বাইসন নিয়েই পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধাওয়া করার পরে তা ধ্বংস করে দেন বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন। পরে অবশ্য পাকিস্তানি ভূখণ্ডে ধরা পড়ে যান তিনি। কূটনৈতিক আলোচনার পরে তিনি ভারতে ফিরে আসেন। মাথা উঁচিয়ে তাঁর ভারতে ফেরার সেই ছবি জনমনে এখনও টাটকা। বস্তুত, বালাকোট হামলা পরবর্তী সময়ে বায়ুসেনার মুখই ছিলেন অভিনন্দন। এই সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়ে এবার স্বাধীনতা দিবসে অভিনন্দনকে বীরচক্রে সম্মানিত করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে বালাকোটে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জয়েশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলায় বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন উইং কমান্ডার অমিত রঞ্জন এবং চারজন স্কোয়াড্রন লিডার— রাহুল বাসোয়া, পঙ্কজ বুঝাড়ে, শশাঙ্ক সিং এবং বি কে এন রেড্ডি। মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানের এই পাঁচজন চালককে এবার সেই কারণেই ‘বায়ুসেনা মেডেল’ দিয়ে সম্মানিত করা হচ্ছে। এছাড়াও সিআইএসএফের ৩২ জনকে সাহসিকতার জন্য পদক দিয়ে সম্মানিত করা হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি পদক পাচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিস। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় পুলিস বাহিনীর জন্য বুধবার ৯৪৬টি পদক ঘোষণা করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়োজিত রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় পুলিস পাচ্ছে ১৮০টি পদক। এর মধ্যে তিনটি রয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট’স পুলিস মেডেল ফর গ্যালান্ট্রি’ সম্মান। রয়েছে ন’টি মরণোত্তর পদক। সিআরপিএফ ৭২টি এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিস পাচ্ছে ৬১টি পদক।