কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
নতুন আইনবলে কেবল জেলা, রাজ্য বা জাতীয়স্তরের কনজিউমার কমিশনই নয়, সিসিপিএ অর্থাৎ সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথরিটি গড়ে যেকোনও লোকঠকানো মামলায় কোনও অভিযোগ ছাড়াই নিজে থেকে (স্যুয়োমোটো) মামলার সুযোগ রাখা হয়েছে। রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলে লোকঠকানো আটকাতে উদ্যোগ নিচ্ছে মোদি সরকার। এ ব্যাপারে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখছেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান।
মুম্বই এবং চণ্ডীগড়ের দুই হোটেল, রেস্তরাঁয় খাবারের চক্ষু চড়কগাছ দাম দেখে খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান আজ বললেন, এসব হচ্ছেটা কী! যত বড় তারকাখচিত হোটেল বা রেস্তরাঁই হোক, তা বলে এই দাম হতে পারে নাকি? জনতাকে এভাবে ঠকালে সরকার মোটেই চুপ করে বসে থাকবে না বলেই স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। মন্ত্রকের তাবড় অফিসারদের ডেকে বৈঠক করলেন পাসোয়ান। কথা বললেন, সংশ্লিষ্ট দুই রাজ্যের সঙ্গেও। তারপরই সাংবাদিকদের ডেকে জানিয়ে দিলেন, সংসদে এখন কনজিউমার প্রোটেকশন সংশোধনী বিল পাশ হয়েছে। রাষ্ট্রপতি গত ৯ আগস্ট তাতে সই করেছেন। ফলে ওই আইনবলে এখন থেকে যারাই মানুষকে ঠকাবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ ছাড় পাবে না।
কেবল হোটেল, রেস্তরাঁই নয়। কোনও পণ্যের বাড়তি দামের পাশাপাশি সেই পণ্য সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করলেও প্রস্তুতকারক সংস্থার যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে। পাশাপাশি কোনও সেলিব্রেটি কোনও পণ্যের বিজ্ঞাপন করলেও সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। কোনও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের দায়ে প্রস্তুতকারকের বলে দেওয়া বক্তব্যের বাইরে বিজ্ঞাপনকে চমকপ্রদ করতে ওই সেলিব্রেটি যদি নিজে থেকে কোনও কিছু বলেন, তাহলে তাঁরও জরিমানা হবে। পাসোয়ান বলেন, বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপন করার অপরাধে ওই সেলিব্রেটির উপর এক বছরের জন্য কোনও পণ্যের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা।
মুম্বইয়ের একটি হোটেলে এক গ্রাহকের থেকে দুটি সিদ্ধ ডিমের জন্য ১৭০০ টাকার বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। একইভাবে চণ্ডীগড়ে একজোড়া কলার জন্য দাম ধরা হয়েছে ৪৪২ টাকা। বিষয়টিতে বিস্ময় প্রকাশ করে রামবিলাস পাসোয়ান এদিন বলেন, প্রাথমিকভাবে হোটেল থেকে বলা হয়েছে, দামের সঙ্গে সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটাও এত হতে পারে নাকি! বিস্ময় প্রকাশ করেন পাসোয়ান।
বলেন, শীতাতপ ব্যবস্থার জন্য কত, চেয়ার টেবিলে বসার সুযোগ দেওয়ার জন্য কত, আলোর ব্যবস্থা দেওয়ার জন্য কত… এরকম কোন পরিষেবার জন্য কত টাকা নেওয়া হচ্ছে, হোটেল, রেস্তরাঁকে এবার থেকে তা স্পষ্ট করতে হবে। বিল দেওয়ার আগে কোন জিনিসের দাম কত, তা জানাতে হবে শুধু নয়, কেন ওই দাম তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। যেসব পণ্যের গায়ে এমআরপি অর্থাৎ ম্যাক্সিমাম রিটেল প্রাইস লেখা থাকবে, তার চেয়ে কেউ বেশি দাম নিতে পারবে না। জানিয়ে দেন পাসোয়ান। কোনওভাবে লোক ঠকালে নতুন উপভোক্তা কমিশনে এবার থেকে ঘরে বসেই গ্রাহকরা অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।