বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
গত শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীর ভেঙে দু’টি কেন্দ্রেশাসিত অঞ্চল গড়ার বিলে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ফলে, আইনে পরিণত হয়ে গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন। আগামী ৩১ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করবে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল — জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। তার আগে ৩৭০ ধারা বিলোপ হতেই দেশের যে কোনও নাগরিক জম্মু ও কাশ্মীরে জমি কিনতে পারবে বলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সেইমতো জমির ভার কার উপর থাকবে, কেন্দ্র না রাজ্য তা নিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়েছে।
রবিবার আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জমি থাকবে রাজ্যের এক্তিয়ারে। এবং আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব থাকবে কেন্দ্রের হাতে। লেফটেন্যান্ট গভর্নরের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা সরকার। যদিও, দিল্লির মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নির্বাচিত সরকার থাকলেও জমির ভার রয়েছে দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (ডিডিএ) হাতে। নিয়ন্ত্রণ করেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর।
নয়া আইন অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় মোট আসন হবে ১০৭। পরে বিধানসভা পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে তা বাড়িয়ে করা হবে ১১৪। কাশ্মীরের একটা অংশ পাকিস্তান দখল করে থাকায় ২৪টি আসন খালিই থাকবে। তবে, লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কোনও আইনসভা থাকবে না। এবং সেখানে আইনশৃঙ্খলা ও জমি দুই-ই লেফটেন্যান্ট গভর্নরের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্র। জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টই হবে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সাধারণ হাইকোর্ট। এছাড়া লেফটেন্যান্ট গভর্নরের মাধ্যমে লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের আইএএস, আইপিএস এবং দুর্নীতি দমন শাখার নিয়ন্ত্রণ থাকবে কেন্দ্রের হাতে।